দুটো চাকরি সামলেও বাংলাদেশকে স্বর্ণ এনে দিলেন ইমরানুর

খেলাধুলা
ইমরানুর রহমান  © সংগৃহীত

‘আমি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষকের চাকরি করছি। এটি পূর্ণকালীন চাকরি। ৮ ঘণ্টা কাজ। এরপর একটি খণ্ডকালীন কাজও করি। এসব সামলেই আমাকে অনুশীলন করতে হয়। কষ্ট হয়ে যায় অনেক। তারপরও যতটা পারছি, নিজের কাজটা করে চলেছি।’ কথা গুলো বলেছেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে স্বর্ণ এনে দেয়া ইমরানুর রহমান। 

কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় তিনি ৬০ মিটার স্প্রিন্টে এ জয় পান। স্বর্ণ জয়ের পথে ইমরানুর সময় নেন ৬ দশমিক ৫৯ সেকেন্ড। যদিও তার ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং ৬ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড। গত বছর বেলগ্রেডে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকসে এই টাইমিং করেন ইমরানুর।

সেমিফাইনালে অনেকটা পথ এগিয়ে থেকেও শেষ দিকে কাতারের প্রতিযোগীর কাছে ফটো ফিনিশিংয়ে হেরে দ্বিতীয় হন ইমরানুর। সেখানে ৬ দশমিক ৬১ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন তিনি, প্রথম হন কাতারের ফেমি সেউন ওগুনোডে।

গত বছর এই ইভেন্টে সার্বিয়ার বেলগ্রেডে ৬ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছিলেন তিনি। কাজাখস্তানে শনিবার সকালের হিটে ইমরানুর সময় নেন ৬ দশমিক ৭০ সেকেন্ড। 

বাংলাদেশের স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমানের স্বর্ণ জয়

ইমরানুর রহমান শুধুই অ্যাথলেটিকস নিয়ে থাকতে চান। কিন্তু তার উপায় কী? গত বছর তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফাইনালে উঠেও বাংলাদেশের কোনো স্পনসর প্রতিষ্ঠানের মন গলাতে পারেননি। তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। 

ইংল্যান্ডে দুটি চাকরি সামলে তাঁর পক্ষে ঠিকঠাক অ্যাথলেটিক চর্চা অব্যাহত রাখা কঠিন। একে তো সেভাবে সময় মেলে না, তার ওপর অনুশীলন করতে টাকা দরকার। একজন কোচ রাখলে তাঁকে সপ্তাহে কড়কড়ে পাউন্ড দিতে হয়। তার এই বক্তব্য শুনে গতবছর শীর্ষ একটি ক্রীড়া ফেডারেশন খোঁজ নিয়েছিল, ইমরানুরের মাসে কত টাকা দরকার। যে টাকা হলে তিনি চাকরি না করে শুধু খেলা নিয়েই থাকতে পারবেন। ইমরানুর তখন হিসাব করে জানান, মাসে তাঁর ৫ লাখ টাকা হলেই চলবে।

অর্থের পরিমাণ জেনে আর কথা বাড়াননি তাঁরা। কিন্তু এভাবে আর কত! শীর্ষ একটি ক্রীড়া ফেডারেশন খোঁজ নিয়েছিল, ইমরানুরের মাসে কত টাকা দরকার। যে টাকা হলে তিনি চাকরি না করে শুধু খেলা নিয়েই থাকতে পারবেন। ইমরানুর তখন হিসাব করে জানান, মাসে তাঁর ৫ লাখ টাকা হলেই চলবে।