বিশ্বমঞ্চে মুনিবার রেকর্ড, বড়জয় পাকিস্তানের

ক্রিকেট
পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি মুনিবার  © ক্রিকইনফো

বিশ্বকাপের আসরে ইতিহাস গড়লেন মুনিবা আলি। মেগ ল্যানিং, হেথার নাইট, দিয়েন্দ্রা ডটিন, হরমনপ্রীত কউরদের মতো মহিলা ক্রিকেটের সুপারস্টারদের সঙ্গে একাসনে জায়গা করে নিয়ে পাকিস্তানকে বড় জয়ের ভিতে বসিয়ে দেন তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার। সেই সঙ্গে পাক নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে গড়ে ফেলেন দুর্দান্ত এক রেকর্ড। 

পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার নজির গড়েন মুনিবা। সব মিলিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের আসরে শতরান করেন পাক তারকা। মুনিবার সেঞ্চুরিতে ভর করেই পাকিস্তান বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের সব থেকে বেশি রানের ইনিংসের রেকর্ড গড়ে।

বুধবার কেপ টাউনে বি-গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। টস জেতে আয়ারল্যান্ড। তারা রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান তোলে। ওপেন করতে নেমে মুনিবা ৪০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৬ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ৬৮ বলে ১০২ রান করে নট-আউট থাকেন মুনিবা।

মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে মুনিবা পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন। তাঁর আগে ল্যানিং ১২৬, ডটিন অপরাজিত ১১২, নাইট অপরাজিত ১০৮ ও হরমনপ্রীত ১০৩ রান করেছেন।

এছাড়া এই ম্যাচে নিদা দার ৩৩ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন। আয়ারল্যান্ডের আর্লিন কেলি ২৭ রানে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন লেয়া পল ও লরা ডেলানি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড দলগত ১০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। ১৬.৩ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে অল-আউট হয়ে যায় তারা। অর্থাই আইরিশরা সকলে মিলে মুনিবার একার রানই টপকাতে পারেননি। আয়ারল্যান্ড ৭০ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ হারে।

দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩১ রান করেন এরলা প্রেন্ডারগাস্ট। ২৮ রান করেন এমিয়ার রিচার্ডসন। ১০ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলেন গ্যাবি লুইস। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি।

পাকিস্তানের নাশরা সান্ধু ১৮ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট পকেটে পোরেন সাদিয়া ইকবাল ও নিদা দার। ১টি করে উইকেট নেন ফতিমা সানা ও তুবা হাসান। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুনিবা। এই জয়ের সুবাদে ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে আসে পাকিস্তান।