অভিষেকেই সবার উপরে তাওহীদ হৃদয়

সিলেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ইতিহাসে ৫০ ওভারের ম্যাচে যেটি সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়ার পথে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাওহিদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে শাকিবের সঙ্গে গড়েছেন ১৩৫ রানের জুটি। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ৮০ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৮৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কার মারে খেলেছেন ৯২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ওয়ানডে অভিষেকে কোনও বাংলাদেশির পক্ষে এটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

অভিষেকই ম্যাচ সেরা হলেন বাংলাদেশের তরুণ তারকা তাওহিদ হৃদয়। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। ম্যাচের সেরা আরও দুই পারফর্মার সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনকে পিছনে ফেলে এই কীর্তি গড়লেন হৃদয়। শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৫ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। যদিএ বহু কাঙ্খিত শতক হাতছাড়া হয় তাঁর। শতকের দেখা পেলে ১৭তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই বিরল কৃতিত্বের দেখা পেতেন তিনি। অবশ্য আউট হওয়ার আগে দেশের ক্রিকেটের একটা রেকর্ড নিজের নামে করে ফেলেছিলেন হৃদয়। নাসিরকে পিছনে ফেলে ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার এখন তাওহিদ হৃদয়।

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ জন ক্রিকেটার ওয়ানডে অভিষেকেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছেন। হৃদয় ছাড়া বাকিরা হলেন, সোহাগ গাজী, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের সেরা হয়ে সব প্রশ্নের শেষেই মুখে হাসি নিয়ে উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটও হাসছে অনেকদিন ধরে। বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে শুরু, এরপর জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি জার্সিটা গায়ে উঠেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। মাঝে শেখ জামালের হয়ে ডিপিএলে একটি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন, সেখানেও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

এবার সিলেটে ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক ম্যাচেও তাই করলেন। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে একটি আফসোসের কথাও শোনালেন তাওহিদ হৃদয়। বগুড়ার এই ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। তখন থেকেই তার নামটা লেখা হচ্ছে ভুলভাবে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের আগ্রহেই সেটি বলেছেন তিনি।