শেষ ম্যাচে কষ্টের জয়ে আফগানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান

ক্রিকেট
হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান  © ক্রিকইনফো

হোয়াইটওয়াশ করা হল না পাকিস্তানকে। কিছুটা গা ছাড়া ভাবে খেলেই হেরে বসল আফগানিস্তান। শেষ ম্যাচে আফগানদের ৬৬ রানে হারিয়ে মান রক্ষা করলেন শাদাব খানরা।

সোমবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে আফগানিস্তান। সেখান থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় রশিদ খানের টিম। তবে ম্যাচ হারলেও খুব বেশি হেলদোল ছিল না আফাগানিস্তানের। কারণ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তারা আগেই সিরিজ পকেটে পুড়ে ফেলেছিল। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হারলেও আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে সিরিজটা জেতে।

পাকিস্তান অবশ্য কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। আফগানিস্তানের কাছে যদি হোয়াইটওয়াশ হতে হত, তবে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে হত শাদাব খানদের। কিন্তু সে রকম কিছু ঘটেনি। বিশেষ করে ব্যাট হাতে পাকিস্তান এ দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। এবং বোলাররাও লড়াকু মেজাজ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়েই শেষ ম্যাচে এসেছে সাফল্য।

প্রথম দুই ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে সিরিজ খোয়াতে হয় পাকিস্তানকে। প্রথম ম্যাচে ৯২ ও পরের ম্যাচে ১৩০ রানের পর আজ উঠেছে ৭ উইকেটে ১৮২ রান।

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংও স্বস্তি দেবে। ২০ বছর বয়সী তরুণ পেসার ইহসানউল্লাহ নিয়েছেন ৩ উইকেট, গতি ও বাউন্সও ছিল দেখার মতো। তাঁর প্রথম বলেই চোয়াল ফাটিয়ে দিয়েছেন নজিবউল্লাহ জাদরানের। যাঁকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এ ছাড়া শাদাব খানও নিয়েছেন ৩ উইকেট।

টস হেরে এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানের মাথায় মহম্মদ হ্যারিসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ২৮ রানের মাথায় পড়ে তৈয়ব তাহিরের উইকেট। তবে আর এক ওপেনার সাইম আয়ুবের ৪০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস ভরসা জোগায়। আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৭ ও ০ রানে আউট হওয়া এই বাঁ-হাতি শেষ ম্যাচে কিছুটা নজর কাড়েন। উইকেটের চারপাশে অসাধারণ কিছু শট খেলেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২টি ছক্কা এবং ৪টি চার।

এ ছাড়া ইফতিকর আহমেদ ২৫ বলে ৩১ করেন। অধিনায়ক শাদাব ১৭ বলে ২৮ রান করেন। ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৩ বলে ২৩ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে পাকিস্তান।

আফগানিস্তানের হয়ে ২ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ৩১ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। এর মধ্যে একটা কীর্তিও গড়েছেন। সর্বশেষ ৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ১০৬ বলে কোনও বাউন্ডারি হজম না করার নজির গড়লেন রশিদ। এ ছাড়া ফজল হক ফারুকি, মহম্মদ নবি, ফরিদ আহমেদ, করিম জানাতও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

বড় রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের শুরুটাই একেবারেই ভালো হয়নি। শুরু থেকেই তারা উইকেট হারাতে শুরু করে। টেল এন্ডারে নেমে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ২টি চার এবং ১টি ছয়ের হাত ধরে ২০ বলে ২১ রান করেছেন। এটাই আফগানদের সর্বোচ্চ রান। বাকিরা তো কেউ ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৮, সিদ্দিকুল্লাহ অটল ১১, উসমান গনি ১৫, মহম্মদ নবি ১৭- এর বাইরে কেই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছায়নি। আফগানিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে এ দিন মূলত ল্যাজেগোবরে হয় রশিদ খানরা। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।

পাকিস্তানের ইহসানউল্লাহ এবং শাদাবের ৩টি উইকেট ছাড়া অমাদ ওয়াসিম, জামান খান, মহম্মদ ওয়াসিম একটি করে উইকেট নিয়েছেন।


মন্তব্য