মেসিকে নিতে বিশেষ বিমানে প্যারিসে ডেভিড বেকহ্যাম

লিওনেল মেসিকে আমেরিকায় নিয়ে যেতে বিশেষ বিমানে প্যারিস এলেন ডেভিড বেকহ্যাম। ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়কের ডাকে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক সাড়া দিবেন কি-না, তা এখনো অজানা।

এখন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় প্রশ্ন, আগামী দিনে কোন ক্লাবে খেলবেন লিওনেল মেসি?

প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) সাথে তার নতুন চুক্তি না হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক দিন আগেই মেসি ১৫টি স্যুটকেস ভর্তি জিনিস রেখে এসেছেন বার্সেলোনার বাড়িতে। আগামী জুন পর্যন্ত ফ্রান্সের ক্লাবটির সাথে চুক্তি রয়েছে তার। পিএসজি মেসিকে ধরে রাখতে আগ্রহী হলেও তাদের নতুন চুক্তির প্রস্তাব সম্ভবত পছন্দ হয়নি মেসির।

আবার মেসিকে ফিরে পেতে আগ্রহী বার্সেলোনা। তাকে পেতে আগ্রহী আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। এই ক্লাবেরই কর্ণধার বেকহ্যাম। গত কাতার বিশ্বকাপের সময় থেকেই মেসির সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। মেসিকে নিজের ক্লাবের জার্সি পরাতে বেকহ্যাম নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন।

স্পেনের বার্সেলোনা, সৌদি আরবে আল হিলালের মতো ক্লাবও মেসিকে পেতে আগ্রহী। এই দুই ক্লাবই মেসির শর্ত মেনে নিতে রাজি। সব ক্লাবই নিজের মতো করে চেষ্টা চালাচ্ছে মেসির জন্য। চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না বেকহ্যামও।

তবে এই প্যারিস সফরকে ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন বেকহ্যাম। পিএসজির সাবেক ফুটবলার তিনি। সেই সূত্রেই প্যারিস সফরে গিয়েছিলেন পুরনো ক্লাবেও। অনুশীলনের মাঠে ফুটবলারদের সাথে ছবিও তুলেছেন তিনি। ছবি তুলেছেন মেসির সাথেও।

সেই ছবিতে বেকহ্যাম, মেসি ছাড়াও রয়েছেন মিডফিল্ডার মার্কো ভারেত্তি। মেসির সাথে কিছুক্ষণ কথাও বলেছেন বেকহ্যাম। বিশেষ বিমানে বেকহ্যামের প্যারিস সফর ও পিএসজিতে পৌঁছে যাওয়াকে নিছক ব্যক্তিগত সফর বলে মানতে চাইছে না ইউরোপীয় ফুটবল মহল। তাদের ধারণা, মেসির সাথে নতুন চুক্তি নিয়ে কথা বলতেই বেকহ্যাম প্যারিস গিয়েছেন।

পিএসজির সাথে নতুন চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই জানার পর নতুন করে উদ্যোগী হয়েছেন বেকহ্যাম। মেসি নিজে অবশ্য তার ক্লাব ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খোলেননি। তার বাবা জর্জ মেসিই আর্জেন্টিনার অধিনায়কের অ্যাজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। বার্সেলোনা মেসিকে ফেরাতে মরিয়া হলেও তাকে সেখানে খেলতে হবে অনেক কম টাকায়। ইন্টার মায়ামির সেই সমস্যা নেই। কিন্তু মেসি এখনি ইউরোপীয় ফুটবলের মূল স্রোতের বাইরে যাবেন কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন