পাঞ্জাবের বিপক্ষ দিল্লির জয়ে আশা বেঁচে থাকলো কলকাতার

ক্রিকেট
পাঞ্জাবের বিপক্ষ দিল্লির জয়  © ক্রিকইনফো

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বড় সুবিধে করে দিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালস। বুধবার পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে কেকেআর-এর জটিল সমীকরণে কিছুটা অক্সিজেন দিলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। এ দিন প্রীতি জিন্টার দল হারায়, সুবিধে পেয়ে গেল শাহরুখ খানের টিম।

আইপিএলের প্লে-অফের স্বপ্ন ভাঙার পর, ছন্দে ফিরলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা। বুধবার ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২ উইকেটে ২১৩ রানের বড় ইনিংস গড়ে দিল্লি। আইপিএলের দৌড় ইতি হওয়ার পর পুরনো ঝলক দেখা গেল পৃথ্বী শ'র ব্যাটিংয়েও। তবে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার রিলি রসৌর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করেই ২০০ পার করল দিল্লি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দুই ওপেনার শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন। গোটা মরশুম জুড়ে যে ওপেনিং জুটি দিল্লিকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে, টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর সেই ওপেনিং জুটিতেই এদিন উঠল ৬২ বলে ৯৪ রান। পাওয়ার প্লে-তেই ৬০-এর বেশি রান উঠে যায়।

অর্ধশতরানের থেকে চার রান দূরে ওয়ার্নারের ইনিংস থামে। ৩১ বলে ৪৬ করেন তিনি। তবে পৃথ্বী তখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ৩৮ বলে ৫৪ করে সাজঘরে ফেরেন। এবারের আইপিএলের প্রথম অর্ধশতরান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৩৬ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। চোটের কারণে এই ম্যাচ খেলতে পারেননি মিচেল মার্শ। তাঁর জায়গায় তিনে নামা রিলি রসৌ পঞ্জাবের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দেন। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। ৬টি চার এবং ৬টি ছক্কার হাত ধরে ৩৭ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন তিনি। তাঁকে শেষের দিকে কিছুটা সঙ্গত দেন ফিল সল্ট। ১৪ বলে ২৬ করে অপরাজিত থাকেন সল্ট। দিল্লির দুই উইকেট নেন পঞ্জাবের স্যাম কারান।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজের প্রথম বলেই আউট হয়ে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। তখন ১.১ ওভার হয়ে গেলেও রানের খাতাই খোলেনি পঞ্জাব। অথচ ১ উইকেট হারিয়ে বসে থাকা তারা। আর এক ওপেনার প্রভসিমরন সিং-ও ১৯ বলে ২২ করে সাজঘরে ফিরে যান। তবে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন অথর্ব তাইদে এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। তাঁরা তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রান যোগ করেন। তবে ৪২ বলে ৫৫ করে অথর্বের রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরাটাই কাল হয় পঞ্জাবের। এর পর কেউ ক্রিজে এসে সে ভাবে লড়াই করতে পারেননি। লিয়াম লিভিংস্টোন একাই দুর্গ আগলে যুদ্ধ চালিয়ে যান।

ইশান্ত শর্মা শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন। জিততে হলে সেই ওভারে ৩২ রান করতে হত পাঞ্জাবকে। চেষ্টাও করেছিলেন লিভিংস্টোন। প্রথম বলে রান নিতে না পারলেও, পরের তিন বলে যথাক্রমে হয় ৬-৪-৬+১ (৭) অর্থাৎ মোট ১৭ রান। চতুর্থ বলে নো হয়, আবার ছক্কাও হয়। যে কারণে একটি বড় সুযোগ এসেছিল পাঞ্জাবের। কারণ চতুর্থ বল নো হওয়ায়, একটি ফ্রি-হিট সহ আরও দুই বল বাকি ছিল। বাকি তিন বলে দু'টি ছয় এবং একটি চার হলেই জিতে যেত পাঞ্জাব। কিন্তু সেটা হল না। ফ্রি-হিটের বলে কোনও রান হয়নি। পরের বলটিও ডট হয়। আর শেষ বলে লিভিংস্টোন আউট হয়ে যান। ৪৮ বলে ৯৪ করে আউট হন লিভিংস্টোন। একদিকে তিনি সেঞ্চুরি তো মিস করলেনই, পাশাপাশি পাঞ্জাবের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্নও ফ্যাকাশে হয়ে গেল। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রান করে পঞ্জাব। ১৫ রানে জেতে ক্যাপিটালস।


মন্তব্য