২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের লোগো প্রকাশ

ফিফা
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের লোগো প্রকাশ  © স্পোর্টসবাইবেল

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের অফিশিয়াল লোগো প্রকাশিত হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের গ্রিফিথ অবজারভেটরিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো প্রকাশিত হয়। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও ব্রাজিলের হয়ে দুইবার বিশ্বকাপ জেতা কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো এ লোগো উন্মোচন করেন।

ফিফা বিশ্বকাপের লোগোতে এবার এসেছে ভিন্নতা। লোগোর ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা রংয়ে বিশ্বকাপের বছর ‘২৬’ লেখা। বছরের ওপর মূল আকর্ষণ হিসেবে বসানো হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের অফিশিয়াল লোগোয় ট্রফির ও আয়োজনের সাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

লোগো উন্মোচনের সঙ্গে একটি হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনও চালু করেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো। এ সময় ‘উই আর ২৬’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যও বলে দেন তিনি, ‘তিনটি দেশ ও পুরো মহাদেশের সবার একতা হয়ে এখন এটাই বলার সময়, আমরা একতাবদ্ধ হয়ে বিশ্বকে স্বাগত জানাতে এবং সর্বকালের সবচেয়ে বড় ও সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিতে প্রস্তুত। ’ ফিফা প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের ১৬টি ভেন্যু শহরের আলাদা ব্র্যান্ডিং করবে ফিফা।

জানা গেছে, এই লোগোর ডিজাইন করেছে ফিফার ব্র্যান্ড টিম। বাইরের এজেন্সির সহায়তাও নেওয়া হয়েছে। তবে কোন কোন এজেন্সি এই কাজ করেছে, তা বলা হয়নি।

২০২৬ সালে চতুর্থবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ বসবে উত্তর আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো যৌথভাবে এ বিশ্বকাপের আয়োজক। মেক্সিকো এর আগে দুইবার (১৯৭০ ও ১৯৮৬) আর যুক্তরাষ্ট্র একবার (১৯৯৪) এর আগে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। কানাডা ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজক হিসেবে নাম লেখাবে।

সামনের বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করেছে ফিফা। দল সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আয়তনে বড় তিন দেশে। তাই যাতায়াত, সময় ও পরিবেশগত পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এতে সমস্যায় পড়তে পারে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলো। এর সমাধান অবশ্য দিয়ে দিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।

ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে শুরুর রাউন্ড গুলোয় দলগুলোকে জায়গা বুঝে তাদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে রাখা হবে, যেখান থেকে ম্যাচ খেলতে যাতায়াত, সময় ও পরিবেশগত সুবিধা হবে। কাতার বিশ্বকাপে এই বিষয়ে এমনিতেই সুবিধা পেয়েছে সবগুলো দল। কাতারে বিভিন্ন জায়গায় খেলা হলেও দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। ইনফান্তিনো প্রসঙ্গক্রমে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কাতারে এই সুবিধাটা ছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে খেলোয়াড় বিছানায় চলে যেতে পারতেন। ’


মন্তব্য