রিঙ্কু সিংয়ের 'স্পেশাল' ইনিংসের পরও ১ রানের হার কলকাতার

ক্রিকেট
১ রানের হার কলকাতার  © ক্রিকইনফো

২০২২ সালের ১৮ মে লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংয়ের 'স্পেশাল' ইনিংসে সত্ত্বেও দু'রানে হেরে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিল কেকেআর। প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লখনউয়ের। আর ৩৬৭ দিন পর শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে দু'দল যখন ফের মুখোমুখি হল, তখনও রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য ইনিংস সত্ত্বেও এক রানে হেরে গেল কেকেআর (প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকার আশা অবশ্য রিঙ্কু নামার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, কারণ প্লে-অফে টিকে থাকতে ৮.৫ ওভারে কেকেআরকে জিততে হত, কিন্ত সেটা হয়নি)। আর প্লে-অফের টিকিট পেয়ে গেল লখনউ।

শনিবার ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ আট উইকেটে ১৭৮ রান তোলে। জবাবে দারুণ শুরু করে কেকেআর। বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং জেসন রয়ের জুটিতে ছুটতে থাকে নাইট ব্রিগেড। প্রথম ছয় ওভারে পেরিয়ে যায় ৬০ রানের গণ্ডি। কিন্তু পাওয়ার প্লে'র পর খেই হারিয়ে ফেলে কেকেআর। পরিস্থিতি এমনই হয় যে জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে নাইট ব্রিগেডের দরকার ছিল ৫১ রান। যা দু'ওভারে ৪১ রানে ঠেকেছিল। আর সেখানেই রিঙ্কু ‘স্পেশাল’ ইনিংসের সাক্ষী থাকে ইডেন।

পড়ুন>>> আইপিএল শেষ পাঞ্জাবের, আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজস্থান

নবীন-উল-হকের ১৯ তম ওভারে ২০ রান তোলেন রিঙ্কু। তিনটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। তার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২১ রান দরকার ছিল কেকেআরের। প্রথম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন বৈভব অরোরা। এক রান নিয়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দেন। তবে দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। দারুণ বাউন্সার করেন লখনউয়ের বোলার যশ ঠাকুর। তৃতীয় বলটাও ভালো করেন। সেই বলে দু'রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি রিঙ্কু। তবে কেন রান নিতে দৌড়াননি, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। 

সেই পরিস্থিতিতে শেষ তিন বলে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার ছিল কেকেআরের (একটি ওয়াইড হয়েছিল)। চতুর্থ বলে যশ ওয়াইড করায় তিন বলে ১৮ রানের দরকার ছিল নাইট ব্রিগেডের। চতুর্থ বলটা ছক্কা মারেন রিঙ্কু। পঞ্চম বলে চার মারেন। ষষ্ঠ বলটাও বাউন্ডারির উপর দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তাতে কেকেআরের হৃদয়ভঙ্গ আটকায়নি। মাত্র ৩৩ বলে রিঙ্কুর ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস সত্ত্বেও এক রানে হেরে যায় কেকেআর।


মন্তব্য