কোহলিকে ম্লান করে গিলের সেঞ্চুরি, আরসিবির বিদায়

ক্রিকেট
আরসিবির বিদায়  © ক্রিকইনফো

জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত, হারলে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণকে সামনে রেখেই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বাঁচা-মরার এমন ম্যাচে বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতেও গুজরাটকে হারের স্বাদ দিতে পারেনি দলটি। শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে কোহলিদের প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় গুজরাট।

গতকাল রোববার (২১ মে) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংযে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে গিলের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট।

আর এই হারে প্লে অফে কোয়ালিফাই করতে পারলো না আরিসিবি, আর এর ফলে চতুর্থ দল হিসেবে কোয়ালিফাই করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

পড়ুন>>>  দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফে চেন্নাই

বৃষ্টির বাধায় খেলা শুরু হতে প্রায় ৪৫ মিনিট দেরি হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬২ রান তুলে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেয় আরসিবি। দলীয় ৬৭ রানে ডু প্লেসি বিদায় নিলে ছন্দ হারায় আরসিবি। ১৯ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন ডু প্লেসি।
 
তার বিদায়ের পর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় আরসিবি। দলীয় ৮০ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও দলীয় ৮৫ রানে বিদায় নেন মহিপাল লোমরর। অল্প রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিযে বেশ চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। মিচেল ব্রেসওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেন কোহলি। তবে আবারও জোড়া উইকেট হারায় আরসিবি। দলীয় ১৩২ রানের সময় ব্রেসওয়েল ও ১৩৩ রানের সময় দিনেশ কার্তিকের বিদায়ে চাপ আরও বাড়ে দলটির।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করতে থাকেন কোহলি। পরবর্তীতে অনুজ রাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে দেয় কোহলি। ৬১ বলে ১০১ রানে কোহলি ও ১৫ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাওয়াত। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন নুর আহমেদ।

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। তবে দলীয় ২৫ রানের মাথায় ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন সাহা। এরপর বিজয় শংকরকে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন গিল।

এই দুইজনের ১২৩ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের কাজ অনেকটাই সহজ করে গুজরাট। দলীয় ১৪৮ রানে শংকর আউট হয়। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫৩ রান। শঙ্করের বিদায়ের প্রভাব খুব একটা পড়তে দেননি গিল। শেষমেষ চার উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করা গিল মাত্র ৫২ বলে উপহার দেন ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস।


মন্তব্য