কোয়ার্টারে ব্রাজিল, বিদায় আর্জেন্টিনার

ফুটবল
কোয়ার্টারে ব্রাজিল, বিদায় আর্জেন্টিনার  © সংগৃৃহীত

হার দিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দল। তবে সেটাই শেষ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের উত্তরসূরিদের। টানা তিন ম্যাচ জিতে এখন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল।

বুধবার (৩১ মে) রাতে শেষ ষোলর খেলায় তিউনিসিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দল। আর্জেন্টিনার দিয়েগো আরমান্দো স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে সেলেসাওদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আন্দ্রে সান্তোস।

শক্তির বিচারে যে তিউনিসিয়ার চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ব্রাজিল সেটার প্রমাণ দিতে সেলেসাওদের বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। ম্যাচের একাদশ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মার্কোস লিওনার্দো।

পড়ুন>>> ৭মবারের মতো উয়েফা ইউরোপা লিগ শিরোপা সেভিয়ার

আরেক ম্যাচে বারের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ছিল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে তাদের পারফরম্যান্সে সেই দাপটও ছিল। তবে নকআউট পর্বে এসে 'নাইজেরিয়া দেয়ালে' আটকে  গেল স্বাগতিকরা।

আর্জেন্টিনার স্যান হুয়ান ডেল বিসেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে নাইজেরিয়া। ইব্রাহিম বেজি মুহাম্মদের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর হালিরু সারকির গোলে শেষ আট নিশ্চিত করে আফ্রিকান দলটি।

শক্তির বিচারে নাইজেরিয়ার থেকে ঢের এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের পরিসংখ্যানও বলছে সেটাই। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ, পাস কিংবা টার্গেটে শট সবকিছুতেই বেশ এগিয়ে আর্জেন্টাইনরা। শুধু ফলাফলটাই তাদের বিপরীতে গেছে।

শুরুর দিকে কিছুটা ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলেছে দুদলই। ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে আক্রমণের ধার বাড়ায়। তবে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়েছে প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া আর্জেন্টিনা রক্ষণভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় কিছুটা। সুযোগ নিতে ভুল করেনি নাইজেরিয়ানরা। ৫৮ তম মিনিটেই প্রায় লিড নিয়ে ফেলেছিল আফ্রিকান দলটি। কিন্তু আদেনিরান লাওয়ালের শট গিয়ে লাগে পোস্টে। ফিরতি শটে সুযোগ পেলেও জালে বল জড়াতে পারেনি নাইজেরিয়ানরা। সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি নাইজেরিয়াকে। ৬১ তম মিনিটে আদেনিরানের পাস থেকেই জালে বল জড়ান বেজি মুহাম্মদ।


মন্তব্য