বৃষ্টিতে কপাল পুড়লো ইংল্যান্ডের, ২০১৭ থেকে টানা অ্যাশেজ জয় অজিদের
- স্পোর্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:০৫ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:০৫ PM

বৃষ্টির জন্য ম্যাঞ্চেস্টারে পঞ্চম দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট ড্র হয়ে গেল। যা ব্যাজবল জমানায় টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ড্র। আর সেই ড্রয়ের সুবাদে ২০১৭ সাল থেকে টানা নিজেদের কাছে অ্যাশেজ রেখে দিল অস্ট্রেলিয়া। ওভালে শেষ টেস্টে ইংল্যান্ড জিতলে সিরিজের ফল ২-২ হবে। কিন্তু গতবারের অ্যাশেজে যেহেতু প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথরা জিতেছিলেন, তাই পঞ্চম টেস্টে হারলেও তাঁদের হাতেই সেই ঐতিহাসিক ট্রফি থাকবে।
আর ওভালে ইংল্যান্ড যে সেই ঐতিহাসিক ট্রফি ফিরিয়ে আনার চেষ্টাটুকুও করতে পারবে না, সেটার জন্য স্রেফ নিজেদের ভাগ্যকে দুষতে পারেন বেন স্টোকসরা। কারণ চতুর্থ দিনের শেষেও ম্যাঞ্চেস্টারে প্রবল চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে পিছিয়ে ছিল। হাতে পড়েছিল পাঁচ উইকেট। অর্থাৎ অভাবনীয় কিছু না ঘটলে অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও ২-২ করে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়ত ইংল্যান্ড। ওভালে হত সিরিজের ফয়সালা। সেইসঙ্গে ২০১৭ সালের পর আবারও অ্যাশেজ ছোঁয়ার আশা জিইয়ে রাখত ইংল্যান্ড।
কিন্তু বৃষ্টির জেরে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের পঞ্চম দিনে একটি বলও খেলা হয়নি। আম্পায়াররা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও কোনও লাভ হয়নি। এমনই বৃষ্টি হচ্ছিল যে অনেকেই মজা করে বলতে থাকেন, নৌকায় চেপে গিয়ে হ্যান্ডশেক করতে হবে স্টোকস এবং কামিন্সদের। শেষপর্যন্ত সেটাই কার্যত সেটাই হয়। বৃষ্টির জন্য পঞ্চম দিনের খেলা বাতিলের ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ড্র হয়ে যায় চতুর্থ টেস্ট। একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ইংরেজদের। যে মাঠেই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল কোটি-কোটি ভারতবাসীর। কারণ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেননি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। একটুর জন্য রান-আউট হয়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। আজ সম্ভবত ইংরেজরাও সেরকম যন্ত্রণা অনুভব করছেন।
২০১৫ সালে শেষবার অ্যাশেজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে অ্যাশেজ জিতেছিল। তারপর থেকে অ্যাশেজে আধিপত্য চলছে অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৭-১৮ সালের অ্য়াশেজে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডে ৪-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন অজিরা। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাঠে অ্যাশেজের ফলাফল ছিল ২-২। তারপর ঘরের মাঠে ইংরেজদের ৪-০ ব্যবধানে চূর্ণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।