টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ, পুলিশ মোতায়েন

টেন্ডুলকার
টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ  © সংগৃৃহীত

বিজ্ঞাপনের জন্য তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্ব ব্যাটিং মাস্টার খ্যাত ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। অনলাইন গেমিং অ্যাপের বাণিজ্যিক দূত হওয়ায় এবং বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ায় টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের অচলপুর থেকে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্য ওমপ্রকাশ বাবারাও ওরফে বাচ্চু কাডু ও তার সমর্থকরা মুম্বাইয়ে টেন্ডুলকারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। এমনকি টেন্ডুলকারের ‘ভারতরত্ন’ পদবিও কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারী কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ।

বাচ্চু কাডুর দাবি, এই ধরনের অ্যাপগুলো তরুণ সমাজের মধ্যে আসক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে শচীনকে এই ধরনের অ্যাপের বিজ্ঞাপনে প্রচার থেকে দূরে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
তার বক্তব্য, ভারত রত্ন পাওয়া শচীনের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপন করা একেবারেই উচিত নয়। বিজ্ঞাপন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। শচীন টেন্ডুলকারের অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন। অথচ তিনি জুয়া খেলার অ্যাপের বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটেই ঠিক করছেন না। আমি শচীনকে অবিলম্বে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

ইন্ডিয়া পোস্ট ইংলিশের খবরে বলা হয়েছে, বাচু কাডু বলেছেন, “শচীন টেন্ডুলকারের প্রচুর ভক্ত রয়েছে। এ কারণে তিনি যে বিজ্ঞাপন করছেন তা শিশু থেকে সবাইকে প্রভাবিত করছে। তাই আমাদের সরল দাবি হল আপনি হয় বিজ্ঞাপন থেকে সরে আসুন অথবা ভারতরত্ন ফিরিয়ে দিন। যদি তা না করা হয়, তাহলে আগামী গণেশোৎসবে আমরা প্রতিটি গণেশ মণ্ডলে একটি করে দানবাক্স রাখব। “এই দানবাক্সটি গণেশ মণ্ডলে ১০ দিনের জন্য রাখা হবে। এর পরে, সমস্ত দান বাক্স থেকে অর্থ সংগ্রহ করে শচীন টেন্ডুলকারকে দেওয়া হবে,” বাচু কাডু বলেছিলেন।

অনলাইন গেমিং এর বিজ্ঞাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। অনেক উদাহরণ আছে। অনলাইন গেমিং আত্মহত্যা এবং খুনের দিকে পরিচালিত করেছে। অতএব, ভারতরত্ন হওয়া সত্ত্বেও, শচীন টেন্ডুলকারের পক্ষে এমন ঘোষণা করা শোভনীয় নয়, বাচু কাডুও বলেছেন। 

একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত, কিন্তু সে যদি ভারতরত্ন হিসেবে এমন ঘোষণা দেয়, তা মেনে নেওয়া যায় না, বলেন বাচু কাডু।

এর  আগে, অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করে একইভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেতা শাহরুখ খান। অ্যান্টি-অনলাইন গেমিং অ্যাপস সংগঠনের সদস্যরা শাহরুখ খানের বাসভবন মান্নাতের বাইরে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা সেলিব্রিটিদের অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন না করার ওপর জোর দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এর ফলে তরুণ প্রজন্ম ভুল পথে চালিত হবে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ