পাকিস্তানের সামনে ৪০২ রানের বিশাল টার্গেট দিল নিউজিল্যান্ড
- স্পোটর্স মোমেন্টস
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৯ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৯ PM

টস জিতে বাবর আজমের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে খুনে ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েছে উইলিয়ামসনরা। রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরি এবং কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪০১ রানে থেমেছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। বিশ্বকাপে এটিই কিউইদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলমান বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। যদিও প্রথম তিন ওভারে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় কোনো ঝুঁকিই নেননি তারা। তবুও প্রথম পাওয়ার-প্লেতে উইকেটশূন্য নিউজিল্যান্ড ৬৬ রান তোলে।
এর পরের ওভারেই প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার হাসান আলী। ডানহাতি এই পেসারের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। বিদায়ের আগে ৩৯ বলে ৬ চারে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র ও চোট কাটিয়ে দলে ফেরা নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন।
এর মধ্যে এবারের বিশ্বকাপে কিউইদের মধ্যে প্রথম ব্যাটার হিসেবে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রবীন্দ্র। তবে তার সঙ্গী উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি থেকে ৫ রানের দূরে থাকতে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। যার ফলে দ্বিতীয় উইকেটে তাদের দুজনের ১৮০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি ভেঙে যায়। ইফতিখার আহমেদের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৫ রানে ফেরেন কিউই অধিনায়ক।
এরপর ৩৬তম ওভারে ২৬১ রানের মাথায় পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে সৌদ শাকিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন রাচিন। ফলে রেকর্ডময় সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসটি থেমে যায় ১০৮ রানেই। তার ৯৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫ চার ও ১ ছক্কায়। দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তানি বোলাররা। তবে তাদের সেই আকাঙ্খা মাটির সাথে মিশিয়ে দেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা।
ড্যারিল মিচেল ১৮ বলে ২৯, মার্ক চ্যাপম্যান ২৭ বলে ৩৯, গ্লেন ফিলিপস ২৫ বলে ৪১ ও মিচেল স্যান্টনারের ১৭ বলে অপরাজিত ২৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪০১ রান। জিততে হলে ৪০২ রান করতে হবে বাবরদের। আর সেমিফাইনালে খেলতে হলে ৩৫ ওভারের মধ্যে করতে হবে সে রান।
পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র একাই ৩ উইকেট শিকার করেন। হাসান আলী, ইফতিখার আহমেদ ও হারিস রউফ পান ১টি করে উইকেট। তবে ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে ৯০ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।