ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা জাগিয়ে রাখল ইংলিশরা
- স্পোটর্স মোমেন্টস
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৬ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৬ PM

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ আগেই হয়েছে ইংল্যান্ডের। চলতি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে হেরে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারবে কি না, সেই শঙ্কাও ঘিরে আছে জস বাটলারদের। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাঁদের জয়টা ছিল খুবই জরুরী।
নেদারল্যান্ডসদের বিপক্ষে বেন স্টোকসের সেঞ্চুরির পর বল হাতে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন আদিল রশিদ ও মঈন আলী। ফলে ১৬০ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের সাতে উঠে এসেছে দলটি।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছাড়া বিশ্বকাপে আর জয় ছিল না ইংল্যান্ডের।
বুধবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা। ফলে ১৬০ রানের জয়ের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের সাতে উঠে এসেছে দলটি। এতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড।
৩৪০ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫ রানেই বিদায় নেন ম্যাক্স ও ডাউড। তিনে নামা অ্যাকরমান ফেরেন ডাক মেরে। চারে নেমে ওপেনার ওয়েসলে বারেসির সঙ্গে কিছুক্ষণ থিতু হন অ্যাঙ্গলব্রেখট। তবে রান আউট হয়ে বারেসি (৩৭) ফিরে গেলে ভাঙে জুটি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অ্যাঙ্গলব্রেখটও। তিনি বিদায় নেন ৩৩ রান করে। এরপর বাস ডি লিড এসে করেন ১০ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৯ রানের জুটি গড়েন নিদামানুরু। এডওয়ার্ডসকে ৩৮ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মঈন। পরবর্তীতে নিদামানুরু ছাড়া আর কেউ টিকতে পারেননি। অপরাজিত থাকা নিদামানুরু করেন ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান।
ইংলিশদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রশিদ ও মঈন। জোড়া উইকেট পান ডেভিড উইলি। একটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন ইংলিশ দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বেয়ারস্টো। ১৫ রানে তার বিদায়ের পর তিনে নেমে কিছুক্ষণ লড়ে যান জো রুট। মালানের সঙ্গে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। রুটকে ২৮ রানে ফিরিয়ে এই জুট ভাঙেন ফন বিক। এরপর দ্রুত উইকেট হারান হ্যারি ব্রুক (১১), জস বাটলার (৫) ও মঈন আলী (৪)।
সপ্তম উইকেটে লড়তে থাকা স্টোকসকে সঙ্গ দেন ক্রিস ওকস। ৫৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা স্টোকসের সঙ্গে তিনি গড়েন ১২৯ রানের জুটি। ৪৪ বলে ফিফটিরও দেখা পান এই ব্যাটার। এরপর আর এক রান যোগ করতেই হারান উইকেট। তবে লড়ে যান স্টোকস। ৭৮ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে এসে হারান উইকেট। এর আগে তিনি খেলে যান ৮৪ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস।
ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিড। জোড়া উইকেট পান আরিয়ান দুত ও ফন বিক। একটি উইকেট তুলে নেন পল ফন মিকারেন।
আগামী শনিবার ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে পারলে চ্যাম্পিন্স ট্রফির টিকিট কাটতে পারবে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা অনেকটাই কমে গেছে ডাচদের। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা খেলবে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে আরেকটি অঘটন ঘটালেও কয়েকটি দলের সঙ্গে পয়েন্ট ও নেট রান রেটের হিসাব-নিকাশও আছে তাদের। তবে ইংল্যান্ডের এই জয় আবার বাংলাদেশের জন্যও ঝুঁকির। ৮ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্টে রানরেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের সাতে চলে এসেছে জশ বাটলারের দল। আটে চলে গেছে বাংলাদেশ। সমান ৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটের কারণে শ্রীলঙ্কা আছে টেবিলের নয়ে, নেদারল্যান্ডস চলে গেল তলানিতে।