খেলার চেয়ে সংঘাতে ব্রাজিলের মনোযোগ বেশি: মেসি

ব্রাজিলের ঘরের মাঠ মারাকানায় সুপার ক্লাসিকোর উত্তাপ ছড়ানোর আগেই গ্যালারিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের সমর্থকরা দাঙ্গায় জড়ায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করে ব্রাজিলিয়ান পুলিশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে আধ ঘণ্টা দেরিতে মাঠে গড়ায় ম্যাচ। সমর্থকদের উত্তাপ মাঠেও টের পাওয়া যায় দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। পুরো ম্যাচে রেফারি ৪২টি ফাউল ধরেন যার মধ্যে ব্রাজিল একাই করেছে ২৬টি। এমন ঘটনা বহুল ম্যাচে দেখানো হয় একটি লাল কার্ডও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। 

উল্লেখ্য, ব্রাজিল তাদের ইতিহাসে কখনও বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে হারেনি। কিন্তু এবার সেই হারের স্বাদ দিলো আর্জেন্টিনা। টানা ৬৪ ম্যাচ পর ৬৫তম ম্যাচে এসে হারল ব্রাজিল।

এমন উত্তাপ ও সংঘাতে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেখানেই নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে নিজ দেশের সমর্থকদের বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েন মেসি, এমিলিয়ানো মার্র্টিনেজরা। এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়ে সতীর্থদের নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠ ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে মেসি বলেন, আমরা দেখেছি পুলিশ কীভাবে সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছিল।  খারাপ কিছু হয়ে যেতেই পারত। সেখানে আমাদের পরিবারের সদস্যরাও ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের সময়ও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল তারা। 

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরও বলেন, খেলার চেয়ে মাঠের বাইরে সংঘাতের দিকেই ওদের মনোযোগ বেশি। কিন্তু আমরা একটি পরিবার। যখন সবকিছু একটু শান্ত হয়ে আসছিল তখন আমরা স্বজনদের খোঁজ নিয়েছি। সবকিছু সম্পর্কেই খোঁজ নিই। এরপর মাঠে ফিরি।

চলতি বছর এটিই তার শেষ ম্যাচ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে মেসি জানান, এটা এই বছরে আমার শেষ ম্যাচ ছিল। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য আমার হাতে এখন সময় আছে। হালকা চোট কাটিয়ে দারুণ একটা বছর কাটানো ও দারুণ প্রাক মৌসুমের জন্য আমি প্রস্তুতি নেব।

ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয় পর্বে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে টানা তিন হারে ব্রাজিল এখন পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে।