শোয়েবের বিয়ে নিয়ে যা বললেন সানিয়ার বাবা

শোয়েব-সানিয়া
  © ফাইল ছবি

পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন অনেকদিনের। এই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লাগে সানিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শোয়েবের সব ছবি মুছে ফেলায়। 

তবে একটি মাত্রই ছবি রয়েছে। সেখানে সানিয়া এবং শোয়েবের সঙ্গে তাদের ছেলে ইজহান রয়েছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে শোয়েবের নামও উল্লেক নেই। ইজহানের জন্মদিন উপলক্ষে সেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন এই ভারতীয় টেনিস তারকা।

শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বিয়ের খবর জানালেন শোয়েব। পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন এই অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি সানিয়া মির্জার। তবে এ নিয়ে কথা বলেছে তার বাবা।

ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা বলছেন, ধর্মীয় আইন ‘খুলা’ পদ্ধতি মেনেই সানিয়া এবং শোয়েবের ডিভোর্স হয়েছে। শরীয়া আইন অনুযায়ী- ‘খুলা’ হল নারীদের একটি অধিকার যার মাধ্যমে তারা একপাক্ষিক ভাবে স্বামীকে বিচ্ছেদ দিতে পারেন। সেই আইনের মাধ্যমেই সানিয়া শোয়েবকে বিচ্ছেদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি সানিয়ার বাবা।

পাকিস্তানের জিও নিউজে বলা হয়, পাকিস্তানি ক্রিকেটার মালিকের অন্য নারীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি মানতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী সানিয়া। ফলে অসন্তুষ্টি থেকে তিনি দীর্ঘদিন শোয়েবের প্রতি অনাগ্রহ দেখান। পরবর্তীতে ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় টেনিস তারকা।

এদিকে, অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালিকের ম্যানেজার আরসালান শাহ। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘কনফার্মেশন : আমাদের প্রিয় তারকা শোয়েব মালিক সানা জাভেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নতুন দম্পতি সুখী ও আনন্দপূর্ণ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

মালিকের নতুন বিয়েতে অসন্তুষ্ট পরিবার
সূত্রের বরাতে জিও নিউজ মালিকের এই বিয়েতে খুশি নয় বলে উল্লেখ করেছে। সে কারণে নাকি পরিবারের কোনো সদস্য তাদের বিয়েতেও উপস্থিত হননি। এমননি সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ও মালিকের পরিবার মানতে পারেনি বলে জানা গেছে। মালিকের বোনজামাই ইমরান জাফর বলেছেন, তাদের বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনেছি। পরিবারের কেউ তাদের বিয়েতে অংশ নেয়নি।