সাকিবকে কাঁদিয়ে বিপিএলের ফাইনালে তামিম
- স্পোর্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৯ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ PM

চলমান বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর। কিন্তু দুই বার ফাইনালের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সাকিব-সোহানরা। বিপরীতে লড়াই করে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তামিমের বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে রংপুরকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী বরিশাল।
সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আলোচনায় ছিলেন দুজন। তবে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মুশফিকুর রহিম, সাইফউদ্দিনরাই গড়ে দিয়েছেন পার্থক্য। দেশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ভর করে প্রেস্টিজিয়াস এই লড়াইয়ে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে গেল বরিশাল।
আগামী ১ মার্চ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২০২১ সালের বিপিএলেও ফাইনালে ছিল এই দুই দল। সেবার জয় পেয়েছিল কুমিল্লা। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার ফাইনালে দেখা হচ্ছে এই দুই দলের।
বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিছুটা একপেশে ম্যাচই খেলেছে বরিশাল। রানতাড়া করতে নেমে বিপিএলে প্রথমবার নন-স্ট্রাইকে ছিলেন তামিম। কারণটা যে ফজল হক ফারুকী তা সবারই জানা। তবে এড়িয়ে গিয়ে লাভ হয়নি। তামিম আউট হয়েছেন ১০ রান করে। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
একই ওভারে কাঁটা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। এক বলের বিরতিতে এলবিডব্লিউতে আউট তিনি। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার খেললেন ৪৭ রানের জুটি। রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে তখনই। সাবধানী ইনিংস খেলে বরিশালকে নিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের আরও কাছে।
মোহাম্মদ নবী আক্রমণে এসেই সৌম্যকে ফিরিয়েছেন। ১৮ বলে ২২ রান করে ফাইনালের পথে দলকে এগিয়ে দিয়ে যান সৌম্য। মুশফিক ছন্দে ছিলেন আজ শুরু থেকেই। কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রংপুরের নাভিশ্বাস তুলেছেন। খুব দ্রুতগতির না হলেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। অন্যদিকে বিগশট উপহার দেন মায়ার্স। ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ৩ ছয়। আউটও হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বাউন্ডারি লাইনে হাসান মাহমুদ এবং রনি তালুকদারের বোঝাপড়ায় আউট তিনি।
মুশফিক বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। দশবছরে ৮ বার দল পালটে বিপিএল শিরোপা পাননি তিনি। এবার সেই লক্ষ্য পূরণের সুযোগটা আবার পাচ্ছেন। আর বিপিএলে পাঁচবারের টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব এবার আসর শেষ করছেন কোয়ালিফায়ার থেকেই।
এর আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর ব্যাট করতে নেমেই পড়েছিল বিপদের মুখে। ১০০ পার করবে কি না তা নিয়েই ছিল শঙ্কা। দলীয় রান ৫০ পেরোনোর আগেই নেই ৫ উইকেট। ৮০ ছুঁতে ছুঁতে নেই ৭ উইকেট। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রংপুর ভালো কিছু করবে এমন বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিলেন।
কিন্তু ধ্বংসস্তুপের মাঝে যেন নতুন করে জেগে উঠলেন শামীম পাটোয়ারী। করলেন এবারের বিপিএলের দ্রুততম ফিফটি। তার বিধ্বংসী ইনিংসে রংপুর পেল মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ফাইনালের জন্য তামিমের ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫০ রান।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই শুরু হলো বরিশালের বোলারদের তাণ্ডব। বাতাসে ব্যাপক সুইং। আর তাতে দিশেহারা হয়েছে রংপুর রাইডার্স। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর ২৬ রানে তিন উইকেট। শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি জিমি নিশাম, নিকোলাস পুরান কিংবা মোহাম্মদ নবীরাও। শেষদিকে শামীম ঝড়ো ইনিংস খেললেও তামিম ইকবালের দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না তা।
এদিকে রংপুর রায়ডার্সকে হারিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তামিম একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে বিজয় উদযাপনের ছবি দিয়ে তামিম লেখেন, মনু’রা কেমন আছো?