বাংলাদেশকে গুটিয়ে ব্যাটিং নৈপূণ্য দেখাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২২, ১০:৪৪ AM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২২, ১০:৪৪ AM

ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটছেই না বাংলাদেশের। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ ব্যাটাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ছন্দহীন বাংলাদেশ দল। মাত্র ২৩৪ রানে অল আউট হয়েছে সাকিবের দল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কীভাবে ব্যাট চালাতে হয় তা দেখালো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। অবশ্য উইকেট ও কন্ডিশনের বিচারে ২৩৪ রানও মন্দ ছিল না। কিন্তু বোলিং এ কোন মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেনি এবাদত-শরীফুলরা।
বাংলাদেশকে অলআউট করে প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামে ক্যারিবীয়রা, যেখানে শুরু থেকেই আগ্রাসী তারা। দুই ওপেনার বার্থওয়েট ও ক্যাম্পবেল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের গতিতে রান তুলেছেন। তাদের সামনে একেবারে অসহায় খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা। উল্টো আলগা বলে ব্যাটসম্যানদের রান করতে সাহায্য করেছেন তারা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সাকুল্য ১৬ ওভার ব্যাট করেছে উইন্ডিজ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে তারা। বাংলাদেশ থেকে ক্যারিবীয়রা এখনো ১৬৭ রানে পিছিয়ে থাকলে হাতে পাক্কা ১০ উইকেট আছে। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৫৫ বলে ৩০ এবং জন ক্যাম্পবেল ৪১ বলে ৩২ রানে শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
শুরুতে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে খালেদ অল্পের জন্য ক্যাম্পবেলের উইকেট নিতে পারেননি। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ক্যাম্পবেল। বল উইকেটের উপর দিয়ে যাওয়ায় ৮ রানে জীবন পান এ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ৭ ওভারে ৪০ রান দিয়ে বসেন শরিফুল আর খালেদ। উইন্ডিজ যেখানে ৬৩ ওভার বল করেও স্পিনার আনেনি, সেখানে অধিনায়ক সাকিব নিজেই অষ্টম ওভারে হাত ঘুরাতে আসেন। একটি ব্রেক-থ্রুর আশায় ঘনঘন বোলিং পরিবর্তন করেন অধিনায়ক সাকিব, অফ স্পিনার মিরাজকে অ্যাটাকে নিয়ে আসেন, তবে লাভ হয়নি কিছুতেই।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল অবশ্যই চাইবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে। কেননা দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে চলমান এই ম্যাচে জয় ভিন্ন রাস্তা খোলা নেই সাকিবের দলের সামনে।
এর আগে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম সেশনে ২টি এবং দ্বিতীয় সেশনে পড়লো ৪টি উইকেট। এরপর শেষ সেশনের শুরুতে পড়লো বাকি ৪ উইকেটও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার কারণে অলআউট হতে হলো ২৩৪ রানে।
লিটন দাস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন। ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তামিম ইকবাল, ২৬ রান করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং এবাদত হোসেন করেন ২১ রান।
৭ বছরেরও বেশি সময় পর দলে ফিরে এসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচের পর ম্যাচ যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন, সেন্ট লুসিয়ায় তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। বরং, দলকে হতাশা উপহার দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ২৩ রান করে।