হেসে-খেলে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১০৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসে-খেলেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০ ওভার ৪ বলে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সহজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিমরা।

আজ বুধবার গায়ানার প্রভিডেন্স পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই জয়ে ম্যাচ ও সিরিজ দুটোই জিতল বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন। 

প্রথমে বোলিংয়ে গিয়ে আজও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের চাপে রাখেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রথম ওভারে ১ বাউন্ডারি হজম করে মোসাদ্দেক ৫ রান দিলেও দ্বিতীয়টিতে মোস্তাফিজুর রহমান দেন মাত্র ১ রান।  

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশ পেতে পারতো সাফল্যও। মিরাজের করা দ্বিতীয় বলে এগিয়ে এসেছিলেন শাই হোপ, কিন্তু আর্ম বল মিস করে যান তিনি। হাতে অনেক সময় থাকলেও স্টাম্পিং করতে পারেননি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, ক্যাচও ছিল; সেটাও নিতে পারেননি তিনি।  

পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় চাপ ধরে রাখেন বোলাররা, তবে পাননি উইকেটের দেখা। পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে তৃতীয় বলে সাফল্য পান মোসাদ্দেক হোসেন। বলের লাইন বুঝতে ভুল হওয়ায় বোল্ড হন কাইল মেয়ার্স। ৩৬ বলে ১৬ রান করেন তিনি।  

দ্বিতীয় সাফল্যের জন্যও ‍খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ১৪তম ওভারের শেষ বলে সামারাহ ব্রুকসকে বোল্ড করেন নাসুম আহমেদ। ১৩ বল খেলে ৫ রান করেই আউট হন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার।  

ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরকার্ডে আর ৫ রান যোগ করার আগেই শাই হোপের উইকেট নেন নাসুম। জীবন পেয়ে ৪৫ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি হোপ। এক বল পর ০ রানে নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন নাসুম।  

এরপর আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্রেন্ডন কিং, আলজেরি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ডকে আউট করেন তিনি। অলআউট হতেও আর বেশি সময় লাগেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন কিমো পল।  

৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভার ৪ মেডেনে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।