বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৫৭ রান

হারারে-তে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। আজকে আবারও টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। এনামুল হক বিজয় এবং আফিফ হোসেনের দুটি অর্ধশতকের উপর ভর করে বাংলাদেশ ২৫৬ রান সংগ্রহ করে। 

ওপেনিং এ ব্যাট করতে নেমে স্কোরকার্ডে ৪১ রান করে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম। ৩০ বল খেলে ৩ চারের সাহায্যে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে এসে আবারও ব্যর্থ হন শান্ত। এভান্সের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। শান্তের পথেই পাড়ি জমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন মুশফিকও। তবে শান্তের চেয়ে দুই বল বেশি খেলেছেন মুশি। 

৫ এ নেমে বাংলাদেশ্র ইনিংস্কে সচল রেখেছেন রিয়াদ। আনামুল বিজয়ের সাথে ৯০ বলে ৭৭ রানের পার্টনারশিপে বাংলাদেশের সম্মান রক্ষা করেছেন তিনি। আনামুল বিজয় সিরিজে তার নিজের ২য় অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন। ৬ চার এবং ৪ ছক্কায় ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন। আফিফ ক্রিজে এসে রিয়াদের সাথে গড়েন ৫৭ বলে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ। এরপর রিয়াদ ৬৯ বলে ৩৯ রানে ফিরে গেলেও একপ্রান্তে আগলে রাখেন আফিফ। মিরাজ তাইজুলদের সাথে নিয়ে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৬ চারে এবং ২  ছক্কায় ৮১ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। 

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্রাড এভান্স এবং জঙ্গুই ২ টি করে উইকেট লাভ করেন। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৫৭  রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সফরে প্রথমে টি-টোয়েন্টিতে ভরাডুবি হয়েছে, এরপর ওয়ানডে সিরিজও হারতে হয়েছে। দুই সিরিজ হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে এবার হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা। বাংলাদেশ পারবে তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?

এই ম্যাচে বাংলাদেশ নিজেদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে পেসার এবাদত হোসেনের। এদিকে এক ম্যাচ পর দলে ফিরলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আগের ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং শরীফুল ইসলাম।