আইসিসির নতুন নিয়মের ফায়দায় ভারতের জয় 

ক্রিকেট
আইসিসির নতুন নিয়মের ফায়দায় ভারতের জয়   © ক্রিকবাজ

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ তখন টানটান উত্তেজনায়। শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ৩২ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। এমন অবস্থায় হতে পারে যেকোন কিছুই। বল হাতে প্রস্তুত অভিষিক্ত পেসার নাসিম শাহ। কিন্তু বোলিং শুরুর আগে এক ধাক্কাই খেতে হলো নাসিমকে। কেননা ৩০ গজের বৃত্তের ভেতরে নিয়ে আসতে হয়েছে একজন বাড়তি ফিল্ডার। অর্থাৎ বৃত্তের বাইরে চারজন ফিল্ডার নিয়ে বোলিং করতে হয়েছে নাসিমকে।

শেষ ৩ ওভারে ৩০ গজের বাইরে ৫ জন নয়, রাখতে হবে ৪ জন। এটাই নতুন নিয়ম আইসিসির। শুধু নাসিমের ১৮তম ওভার নয়, ভারতের ইনিংসের শেষ তিন ওভার বৃত্তের বাইরে একজন ফিল্ডার কম নিয়েই বোলিং করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সাধারণত পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর বৃত্তের বাইরে পাঁচজন ফিল্ডার রাখতে পারে যেকোনো দল। কিন্তু পাকিস্তানকে শেষ তিন ওভার করতে হয়েছে চারজন ফিল্ডার বাইরে রেখে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে স্লো ওভার রেটের জন্য নতুন নিয়ম করেছে আইসিসি। ম্যাচ শেষে শুনানিতে তো একটি শাস্তি থাকেই, শাস্তি দেওয়া হয় ম্যাচ চলাকালেও। রোববার এশিয়া কাপের ম্যাচে সেই শাস্তি পেয়েছে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই।

আইসিসির স্লো ওভার রেটের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইনিংস শেষ করার জন্য বেঁধে দেওয়া সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যত ওভার বাকি থাকে, সে ওভারগুলো বৃত্তের বাইরে একজন কম ফিল্ডার নিয়েই বোলিং করতে হবে। অর্থাৎ ইনিংস শেষ করার জন্য দেওয়া ৯০ মিনিটে যদি ১৮ ওভার করা হয়, তাহলে বাকি দুই ওভারে বৃত্তের বাইরে ফিল্ডার রাখা যাবে চারজন।

এ নিয়মের কারণে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শেষ দুই ওভারে বৃত্তের বাইরে চারজন ফিল্ডার পেয়েছে ভারত। অলআউট হওয়ার আগে শেষের ১১ বল থেকে ২৩ রান তুলেছিল পাকিস্তান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানও শাস্তির খপ্পড়ে পড়ে। তাদেরও শেষ তিন ওভারে বৃত্তের বাইরে রাখতে হয় চারজন ফিল্ডার।

বৃত্তের বাইরে একজন কম ফিল্ডার থাকার সুবিধা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ভারত। বিশেষ করে নাসিমের করা ১৮তম ওভারে মিড অফ ও এক্সট্রা কভারের মাঝে দিয়ে জাদেজার বাউন্ডারি কিংবা হারিস রউফের করা ১৯তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার চারের মার এসেছে ফাঁকা জায়গা দিয়েই। সেটি নিয়ে অবশ্য চিন্তাই করেননি ভারতের জয়ের নায়ক হার্দিক। ম্যাচ শেষে রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় বলেছেন, বৃত্তের বাইরে ১০ জন থাকলেও তিনি ছক্কা মারারই চেষ্টা করতেন।