এশিয়া কাপের ফাইনালে ৪র্থ বার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান

ক্রিকেট
শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান  © ক্রিকইনফো

রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। তবে এশিয়া কাপের ফাইনালে দু'দলের মুখোমুখি সাক্ষাৎ এই প্রথম নয়। বরং এর আগে তিনবার এশিয়া কাপের শিরোপার লড়াইয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে দুই দেশ। দু'বার শ্রীলঙ্কা টেক্কা দিয়েছে পাকিস্তানকে। একবার বাজিমাত করেছে পাকিস্তান। 

১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল:-

এশিয়া কাপের দ্বিতীয় মৌসুমের ফাইনাল খেলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ৪৫ ওভারে তারা ৯ উইকেটে ১৯১ রান তোলে। ৬৭ রান করেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন কৌশিক। পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৫৭ রান করেন রণতুঙ্গা ও ৫২ রান করেন অরবিন্দ ডি'সিলভা। ৩২ রানে ৩টি উইকেট নেন আব্দুল কাদির। শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচের সেরা হন মিয়াঁদাদ।

২০০০ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল:-

ঢাকায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা ৪ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে। আনোয়ার ৮২, ইনজামাম উল হক ৭২ ও মইন খান ৫৬ রান করেন। ৪৪ রানে ২টি উইকেট নেন নুয়ান জয়সা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৫.২ ওভারে ২৩৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মার্ভান আতাপাত্তু ১০০ রান করেন। ওয়াসিম আকরাম ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন। পাকিস্তান ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচের সেরা হন মইন খান।

২০১৪ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল:-


মীরপুরে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৬০ রান তোলে। ফাওয়াদ আলম ১১৪, মিসবা উল হক ৬৫ ও উমর আকমল ৫৯ রান করেন। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন লসিথ মালিঙ্গা। পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৬.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬১ রান সংগ্রহ করে নেয়। ১০১ রান করেন লাহিরু থিরিমানে। ৭৫ রান করেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন সৈয়দ আজমল। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে ট্রফি হাতে তোলে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের সেরা হন মালিঙ্গা।


মন্তব্য