বার্সা-টোটেনহামের ব্যর্থতার রাতে জয় পেয়েছে সিপি, লিভারপুল

বার্সা-টোটেনহামের ব্যর্থতার রাতে জয় পেয়েছে সিপি, লিভারপুল
বার্সা-টোটেনহামের ব্যর্থতার রাতে জয় পেয়েছে সিপি, লিভারপুল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের কাছে প্রতিশোধ তো দূরের কথা প্রতিরোধই গড়তে পারলনা বার্সা। বায়ার্নের গোলমেশিন লেওাকে দলে ভিড়িয়েও জয় পাওয়া হল না বার্সার। শেষ ৪ ম্যাচে বায়ার্নের কাছে ১৬-২ গোলে হেরেছে কাতালানরা। গত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে হেরেছে টোটেনহাম এবং এটলেটিকো মাদ্রিদও। 

গ্রুপ এ এর ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া লিভারপুল। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে আয়াক্সের বিপক্ষে মোহামেদ সালাহর গোল ১৭ মিনিটেই এগিয়ে দিয়েছিল লিভারপুলকে। দলটা যেভাবে আক্রমণ শানাচ্ছিল, তাতে ধারণা করা হচ্ছিল জয়টা বুঝি সহজই হবে তাদের। তবে সফরকারীরা জবাব দেয় দশ মিনিট পরই। রক্ষণের মারাত্মক ভুলে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান আয়াক্সের নতুন তারকা মোহামেদ কুদুস। ৮৯ মিনিটে দুর্ভাগ্য আর সঙ্গী হয়নি লিভারপুলের। কস্তাস সিমিকাসের নেওয়া কর্নার থেকে জোয়েল মাতিপ করেন গোলটি। তাতেই ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে লিভারপুল তুলে নেয় মৌসুমের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়টি। 

গ্রুপ বি এর ম্যাচে ৩-০ তে পোর্তোর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ক্লাব ব্রুগ। অপর ম্যাচে চমক দেখিয়েছে লেভারকুসেন। ঘরের মাঠে এটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-০ তে হারিয়ে দেয় তারা। গোল দুটি এসেছে ম্যাচের ৮৪ এবং ৮৭ মিনিটে। 

গ্রুপ সি এর ম্যাচে বায়ার্ন ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে। তাতে মিউনিখে কাতালানদের একটি জয়ের জন্য হাহাকার বাড়তেই থাকলো। বাভারিয়ানদের মাঠে এনিয়ে শেষ সাতটি ম্যাচের একটিও জিততে পারলো না- পাঁচ হার ও দুটি ড্র। ন্যয়ারের দক্ষতায় ম্যাচে টিকে থাকা বায়ার্ন বিরতির পরই এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিট পর জোশুয়া কিমিখের কর্নার থেকে ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ হেড করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। বার্সা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য গুছিয়ে ওঠার আগে দ্বিতীয় গোল হজম করে। জামাল মুসিয়ালার পাস থেকে লেরয় সানে করেন ২-০। 

৬৩ মিনিটে পেদ্রি পোস্টে আঘাত করলে বার্সার আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। জার্মানরা সহজে তিন পয়েন্ট আদায় করে। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন পরের ম্যাচ খেলবে চেক দল ভিক্টোরিয়া প্লজেনকে। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সার পরের দুটি ম্যাচই ইন্টার মিলানের সঙ্গে, ইতালিয়ান দলটি ২-০ গোলে জিতেছে প্লজেনের মাঠে। 

গ্রুপ ডি এর ম্যাচে ভাগ্যটা সুপ্রসন্ন হয়নি ইংলিশ দল টটেনহ্যামের। শেষ সময়ের জোড়া গোলে কপাল পুড়েছে তাদের। নিষ্ফলা ৯০ মিনিট শেষে যখন ড্রকেই মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি, তখনই গোল করে বসে স্পোর্টিং লিসবন। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে গোল করেন পাওলিনিও। তবে হারটা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল না, শেষ সময়ে স্পার্স গোল করলেও করে ফেলতে পারত। তবে এর মিনিট তিনেক পর সেই পাওলিনিওর বাড়ানো বলে গোল করেন আর্থুর, তাতে স্পার্সের হারটাও নিশ্চিত হয়ে যায়।  অপর ম্যাচে মার্শেইকে ১-০ তে হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট।