নারী ফুটবলার স্বপ্নার গ্রামে বিজয় র‌্যালি ও মিষ্টি বিতরণ

খেলাধুলা
  © সংগৃহীত

নেপালের মাটিতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুশিতে ভাসছে রংপুরের সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচরা গ্রাম।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পালিচরায় বিজয় র‍্যালী ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এই গ্রামেরই মেয়ে স্বপ্না। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়।

ম্যাচ জয়ের পরে পালিচরার মানুষ আনন্দে নেচে গেয়ে অভিনন্দন জানান স্বপ্নার বাবা-মা এবং যার হাত ধরে ফুটবল জগতের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে সেই কোচ মিলন মিয়াকে।  

স্বপ্নার মা লিপি বেগম ও বাবা মোকছার আলীর অনুভূতি প্রকাশের যেন ভাষা নেই আজ। শুধু বলেছেন, এত খুশি কোনদিন হননি তারা। দল জেতার জন্য রোববার রাতে স্বপ্না ফোনে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানান তারা।
 
সদ্যপুস্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব এএফসির ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ মিলন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ তথা স্বপ্নার সাফল্যে তিনি খুব খুশি। ফাইনালে  স্বপ্নাকে মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরি কারণে কিছুক্ষণ পরে তাকে তুলে নেয়া হয়। স্বপ্না ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে মোট ৪টি গোল করেছেন। স্বপ্নার এই সাফল্যে পালিচরাবাসি খুবই আনন্দিত।
 
রংপুর নগরী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের অবস্থিত পালিচরা গ্রাম। এটি সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নে। এখানে বেশ কজন নারী ফুটবলার উন্নত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জাতীয় পর্যায়ে সদ্যপুস্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব নারী খেলোয়ার তৈরিতে অবদান রাখছে। যা ইতোমধ্যে দেশবাসীকে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।