রাতে আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও আছে নুরুল হাসান সোহানরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের মতো আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়া হবে। বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজ জয়টা প্রত্যাশিতই। তবে প্রথম ম্যাচের শেষ দিকে স্বাগতিকরা যেভাবে জ্বলে উঠেছিল, সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচটি মোটেও সহজ হবে না।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি। শুধু একবার দেখা হয়েছিল এশিয়া কাপে ২০১৬ সালে। এবারই প্রথম দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কোনও রকমে ৭ রানের জয় এসেছে। তবে বাংলাদেশের ব্যটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনও বিভাগেই আপ টু দ্য মার্ক ছিল না। ফলে কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারা মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। সিরিজ জিততে আগের ভুলগুলো শুধরতে নিতে চাইছেন। পাশাপাশি যে উদ্দেশ্য নিয়ে মরুর বুকে আসা, বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় সেই কথা সবাইকে মনে করিয়েছেন, ‘দেখুন আমরা এখানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতির লক্ষ্য। সে জন্য ২-৩ দিন এখানে অনুশীলন করেছি, একটা ম্যাচও খেলেছি। ছোট ছোট যে ভুলগুলো ছিল সেগুলো কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি, পরের ম্যাচে সেগুলোর প্রয়োগ করতে চাইবো।’

শেষ ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা প্রবল। এশিয়া কাপসহ দুই ম্যাচেই সাব্বির রহমান ব্যর্থ ছিলেন। আজ তার জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের মূল দলে না থাকলেও তাকে আজ দেখে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

সাম্প্রতিক সময়ে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ হতাশার বৃত্তেই আটকে আছে। বেশকিছু ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি গিয়েও পারেনি। সর্বশেষ এশিয়া কাপে তো আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। মরুর বুকে প্রথম ম্যাচটি কষ্ট করে জিতলেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই জয় আত্মবিশ্বাসের রসদ হিসেবে কাজে দেবে তাতে সন্দেহ নেই। আর সেটি হলে বাংলাদেশেরই লাভ।