শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ইংল্যান্ডকে হারালো পাকিস্তান
- স্পোর্টস মোমেন্টস
- প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৫ AM , আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৫ AM

আগের ম্যাচে শেষ ১২ বলে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল মাত্র ৩ রানে। বুধবার ১২ বলে তাদের দরকার ছিল ২৮ রান। পরীক্ষিত সব ব্যাটসম্যানই ক্রিজে। হারিস রউফের ওভার থেকে ১৩ রান নিয়ে শেষ ওভারে লক্ষ্য ১৫ রানে নামিয়ে আনেন মঈন আলী ও ক্রিস ওকস।
কিন্তু নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা পেসার আমির জামাল অতিথিদের জিততে দেননি। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৬ রানের জয়ে সাত ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
ব্যাট হাতে তারকা ওপেনার রিজওয়ানের ধারাবাহিকতার সুফল পাচ্ছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপে আগাগোড়া দলকে ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিয়েছেন রিজওয়ান। এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ সিরিজে ৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে এই নিয়ে চার নম্বর হাফ-সেঞ্চুরি করলেন রিজওয়ান। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদেই বুধবার লাহোরে লড়াই করার রসদ পায় পাকিস্তান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ১৯ ওভারে ১৪৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মুহম্মদ রিজওয়ান ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি।
বাবর আজম ৯, শান মাসুদ ৭, হায়দার আলি ৭, ইফতিকার আহমেদ ১৫, আসিফ আলি ৫, মহম্মদ নওয়াজ ০, শাদব খান ৭, আমের জামাল ১০, মহম্মদ ওয়াসিম ৬ ও হ্যারিস রউফ ৮ রান করেন। মার্ক উড ৩টি এবং স্যাম কারান ও ডেভিড উইলি ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট পকেটে পোরেন ক্রিস ওকস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায়। ৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটিই কোনও দলের সব থেকে কম রানের ইনিংস গড়ে (প্রথম ব্যাট করে) ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
মইন আলি দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে জেতানোর চেষ্টা করেন। তবে যথেষ্ট ছিল না তাঁর একক প্রচেষ্টা। মইন ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৫১ রান করে নট-আউট থাকেন। এছাড়া ডেভিড মালান ৩৬, বেন ডাকেট ১০, স্যাম কারান ১৭ ও ক্রিস ওকস ১০ রান করেন। হ্যারিস রউফ ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন মহম্মদ নওয়াজ, মহম্মদ ওয়াসিম, শাদব খান, ইফতিকার আহমেদ ও আমের জামাল। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রিজওয়ান।