পাকিস্তানকে হারাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৬৮

ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। বাবর-রিজওয়ান ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান যোগ করে। বাবরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদি মিরাজ। এরপর দলীয় ১১১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬৮ রান।  

অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বল সুইপ করে ফাইন লেগ দিয়ে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন বাবর আজম। বলে হালকা বাউন্স থাকায় টাইমিং গড়বড় হয়। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ ধরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

বোলিং ভালো না হলেও হাসান মাহমুদ ফিল্ডিংয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়ে অবদান রাখেন। স্পিনার নাসুম আহমেদের লেন্থ বল স্লগ করে উড়াতে চেয়েছিলেন শান মাসুদ। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে পয়েন্টে ক্যাচ উঠে। বামদিকে ঝাঁপিয়ে বল আয়ত্তে নেন হাসান। দ্বিতীয়বারে বল তালুবন্দি করেন। দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২২ বলে ৩১ রানে তাকে থামান নাসুম। নতুন ব্যাটসম্যান হায়দার আলী। 

দারুণ ধারাবাহিকতায় থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান তুলে নিয়েছেন আরেকটি ফিফটি। টি-টোয়েন্টির নম্বর ওয়ান ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি। পাকিস্তান বড় রান পেতে তার দিকে তাকিয়ে। বাংলাদেশ তাকে থামাতে পারলে লক্ষ্য নাগালে রাখতে পারবে। 

বৈচিত্র্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ পেলেন আরেকটি উইকেট। এবার তার শিকার আসিফ আলী। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন আসিফ। মারমুখী ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে রানের চাকায় লাগাম টেনেছেন তাসকিন। অপর দুই পেসার মোস্তাফিজ ও হাসান নিষ্প্রভ থাকলেও তাসকিন নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন। ৪ ওভারে ২৫ রানে তার শিকার ২ উইকেট। 

বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮/০, হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪২/১ রান দিয়েছেন।