পাকিস্তানের পর আমিরাতকেও হারালো থাইল্যান্ড

ক্রিকেট
টানা ২য় জয় থাইল্যান্ডের মেয়েদের  © ক্রিকইনফো

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হারা থাইল্যান্ড ইতিহাস গড়েছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে আরেকটি জয় পেলো তারা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তারা হারিয়েছে ১৯ রানে।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোর খুব বড় করতে পারেনি থাইল্যান্ড। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে ১০৮ রানের কম পুঁজিও আটকাতে পেরেছে তারা। আমিরাতকে ৮ উইকেটে ৮৯ রানে হারায় থাইরা। সপ্তম ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। পাকিস্তান বধের নায়ক নাথাকান চান্থাম মাত্র ১২ রানে আউট হন। এরপর অধিনায়ক নারুয়েমল চাইওয়াই ধীর ব্যাটিংয়ে হাল ধরেন, সঙ্গে ছিলেন সরনারিন তিপ্পোচ।

তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রান যোগ করে তিপ্পোচ বিদায় নেন। চানিদা সুথিরুয়াং (৩) রান আউটের পর শেষ দিকে রোসেনান কানোহ ঝড় তোলেন। শেষ ওভারে পরপর ছক্কা মারেন তিনি। ৮ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন কানোহ। ৫২ বলে ৩৭ রানের সেরা ইনিংস খেলে টিকে ছিলেন চাইওয়াই।

৪ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের টার্গেট দেয় থাইল্যান্ড। বাকি দায়িত্ব ভালোভাবে সামলান তাদের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারানো আমিরাত বিধ্বস্ত হয় মূলত ১৩তম ওভারে। তাদের সেরা স্কোরার কাভিশা ইগোদাগে (২৯) আউট হওয়ার পর আর দাঁড়াতে পারেনি। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানো আমিরাত ৮৮ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যানকে হারায়। কাভিশা ছাড়া খুশি শর্মা (১২) ও অধিনায়ক ছায়া মুঘল (১৭) কেবল দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।

থাইল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা থিপাতচা পুথাওং, সমান সংখ্যক উইকেট পান ওনিচা কামচোম্ফু।

চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাইল্যান্ড। তাতে করে সেমিফাইনালের আশা জোরালো করলো তারা। থাইদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট দুই থেকে চারে থাকা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ভারত।