পাকিস্তানকে হারানো জিম্বাবুয়ের অসহায় আত্মসমর্পণ ডাচদের সামনে

লক্ষ্য মাত্র ১১৮ রানের। স্বাচ্ছন্দ্যে জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবিলা করে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলো নেদারল্যান্ডস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হারার পর প্রথম জয়ের দেখা পেলো তারা। ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১২০ রান ডাচদের। ৫ উইকেটে জিতলো তারা। তাতে করে গ্রুপ-২ এ প্রতিটি দল অন্তত একটি করে জয় পেলো।

চতুর্থ ওভারে স্টেফান মাইবুর্গ (৮) ফিরে গেলেও টম কুপার ও ম্যাক্স ও’ডাউডের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। তারা দলকে ৭৩ রানের জুটি উপহার দেন। দলীয় ৯০ রানে কুপার ৩২ রানে আউট হন।

এরপর ও’ডাউড যখন থামেন, তখন জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। দলীয় ১০৯ রানে তিনি আউট হন ইনিংস সেরা ৫২ রানে। ৪৭ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাস ডি লিড ও রুলফ ফন ডার মারউই। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ডি লিড চার মেরে জয় এনে দেন। 

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় স্কোরই করতে চেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বোলিং আক্রমণের সামনে বড্ড বিবর্ণ তাদের ব্যাটিং।

দ্বিতীয় ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরে (১) আউট হলে ক্রেইগ আরভিন ও রেগিস চাকাভা হাল ধরতে পারেননি। ব্র্যান্ডন গ্লোভার টানা দুই ওভারে দুজনকে ফেরান। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

যদিও শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা নেদারল্যান্ডসের উইকেট উৎসবে কিছুটা বাধা দিয়েছিলেন। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙতে আবারও সেই অসহায়ত্ব।

২৮ রান করে উইলিয়ামস আউট হন। বাস ডি লিড তার দুই শিকারের প্রথমটি বানান রাজাকে। ২৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৪০ রান করেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এই দুজন বাদে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১১৭ রানে থামতে হয় জিম্বাবুয়েকে। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে তাদের অলআউট করে ডাচরা। পল ফন মিকেরেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। দুটি করে পান গ্লোভার, লোগান ফন বিক ও ডি লিড। 

ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে দলটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন ব্র্যাড ইভান্স। তাকে ছাড়াই আজ অ্যাডিলেডে খেলবে জিম্বাবুয়ে। তার জায়গায় দলে এসেছেন লুক জংওয়ে।

ওদিকে নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস জানালেন, টস জিতলে ফিল্ডিংই বেছে নিতেন তিনি। উইকেট ঢাকা ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতেন, জানালেন তিনি।