দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান

পাকিস্তান
  © সংগৃৃহীত

বিশ্বকাপে বৃষ্টি কখনও আশীর্বাদ বয়ে আনেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। তার প্রমাণ এবারও মিললো। বৃষ্টি নামার আগে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৮৬। বৃষ্টি অনেকটা সময় কেড়ে নিলে পরে ১৪ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের কাছে ৩৩ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশাটুকু এখনও বেঁচে রইলো।

গ্রুপ দুইয়ে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ভারত ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।  

অবশ্য বৃষ্টির আগেই ভীষণ বিপদে ছিল প্রোটিয়ারা। তার চেয়েও বড় দুঃসংবাদ ছিল ডেভিড মিলার এই ম্যাচে নেই! তার অনুপস্থিতি কেমন প্রভাব ফেলে তার ফলটা তো হাতেনাতেই মিলেছে।

৯ ওভারে ৬৯ রানে পড়েছে ৪ উইকেট। অষ্টম ওভারে শাদাব খানই সর্বনাশ করেছেন তাদের। জোড়া আঘাতে ফিরিয়েছেন দুই সেট ব্যাটার তেম্বা বাভুমা (৩৬) ও এইডেন মারক্রামকে (২০)। বৃষ্টির পর ওভার কমে গেলে তখন চাপটাও বাড়ে আরও। সেই চাপে পিষ্ট হয়ে তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হাইনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিস্টান স্টাবসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করলেও এই দুজন প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ক্লাসেন ১৫ রানে ফিরেছেন। তার পর একে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়েইন পারনেল (৩), ত্রিস্টান স্টাবস (১৮)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১০৮।

স্বীকৃত টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল এদিন। ৪৩ রানে বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪), মোহাম্মদ হারিস (২৮), বাবর আজম (৬) ও শান মাসুদ (২)। ৯৫ রানে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরলে তখনও বোঝা যায়নি শেষটায় কী বারুদ জমিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তার পর মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রানের বারুদ ঠাসা জুটি উপহার দিয়েছেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনেই পান বিস্ফোরক ফিফটি।

তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮.৫ ওভারে জমা হয়েছে ১৭৭! শাদাব খান  ২২ বলে ৫২ রানে ফিরলে জুটি ভাঙে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছয়। পরের বলে বিদায় নেন নতুন নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম। পরবর্তী ওভারের শুরুতে ইফতিখার আহমেদের দুর্দান্ত ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ৩ টার ও ২ ছক্কায় তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫১ রান। টানা তিন বলে উইকেট পড়ায় শেষটা ছিল ধীরগতির। তার পরেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বড় স্কোর পেয়েছে পাকিস্তান।  


মন্তব্য