খুড়িয়ে খুড়িয়ে সেমিতে ওঠা পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালে

ক্রিকেট
পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালে  © ক্রিকইনফো

খুড়িয়ে খুড়িয়ে সেমিতে ওঠা পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালে। ফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫৩ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের পথ সহজ করে পাকিস্তান। এরপর বাকি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। শেস পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তান।  

১৫৩ এর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম এবং রিজওয়ানের যৌথ অর্ধশতকে চালকের আসন দখল করেছিল পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যুক্ত করে ১০৫ রান। বাবর আজম ৪২ বলে ৫৩ এবং রিজওয়ান ৪৩ বলে করেন ৫৭ রান। তিনে ব্যাট করতে নামা হ্যারিসের ২৬ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে ফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

সিডনিতে আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারেই পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের তোপের মুখে। বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে ফিন অ্যালেনের দুর্বলতার বিষয়টা হয়তো বাবর আজমের জানাই ছিল। সে কারণেই হয়তো, প্রথম ওভারে দেখা মিলল শাহিন আফ্রিদির।

প্রথম বলে চার মারলেও দ্বিতীয় বলেই অ্যালেনের দুর্বলতা প্রকাশ পেল। এলবিডব্লিউর আবেদন উঠেছিল, আম্পায়ার মারাই ইরাসমাস আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন। তবে রিভিউতে দেখা যায়, বলটা প্যাডে লেগেছিল ব্যাটের কোণা ছুঁয়ে। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।

শুরুর ধাক্কাটা উইলিয়ামসন আর ডেভন কনওয়ে মিলে সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। সে চেষ্টার ইতি ঘটল পাওয়ারপ্লের শেষ বলে। হারিস রউফের বলটা মিড অফে ঠেলে একটা রান নিতে চেয়েছিলেন, তবে শাদাব খানের দারুণ এক থ্রোতে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় তার, মাসুল গুণতে হয় উইকেটটা খুইয়ে। 

ওভার দুয়েক পর গ্লেন ফিলিপসও যখন ফিরলেন মোহাম্মদ নওয়াজের শিকার হয়ে, তখন মনে হচ্ছিল তাসের ঘরের মতোই বুঝি ভেঙে পড়ছে কিউই লাইনআপ। তবে তা হয়নি উইলিয়ামসন আর ড্যারিল মিচেলের কল্যাণে।

উইলিয়ামসন ফিফটির আগে আউট হন, তবে ফেরার আগে মিচেলের শেষের ঝড়ের মঞ্চটা গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিচেল পেলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। তাতে ভর করেই নিউজিল্যান্ড পায় ১৫২ রানের পুঁজি।