চমক দেখিয়ে কোয়ার্টারে মরক্কো, স্পেনের বিদায়

ফুটবল
চমক দেখিয়ে কোয়ার্টারে মরক্কো, স্পেনের বিদায়  © ফাইল ফটো

টাইব্রেকারে ফের ডোবাল স্পেন। এ বারও ভাগ্য ফিরল না। স্পেনের তিন জন ফুটবলার পেনাল্টি নিয়েছিলেন। এক জনও গোলে রাখতে পারলেন না। পাবলো সারাবিয়ার শট লাগলো পোস্টে। কার্লোস সোলের এবং সের্জিয়ো বুসকেতসের শট বাঁচিয়ে দিলেন মরক্কো গোলকিপার ইয়াসিন বোনো। ক্রোয়েশিয়ার লিভাকোভিচের পর এ বার স্পেনকে রুখে নায়ক হলেন ইয়াসিন বোনো।

টাইব্রেকার যেন স্পেনের কাছে বিভীষিকা হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে পাঁচ বার টাইব্রেকারে ম্যাচ গিয়েছিল স্পেনের। চার বারই হেরেছে তারা। টাইব্রেকার আশঙ্কা থেকেই শেষ ষোলোর লড়াইয়ের আগের দিন স্পেনের কোচ লুই এনরিকে জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে দলের ফুটবলারদের তিনি নাকি ১০০০ পেনাল্টি কিক প্র্যাকটিস করে আসতে বলেছিলেন। তবে হোমওয়ার্ক করেও কোনও লাভ হল না। একটা শটও গোলে রাখতে না পেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেল স্পেন।

সাত গোলের ধামাকা দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা স্পেনকে অঙ্ক কষে আটকে দিল মরক্কো।পুরো ১২০ মিনিট তারা স্পেনকে খেলতে দিয়েছে। যত খুশি পাস খেলেছে স্পেন। বল পজেশনে এগিয়ে ছিল এনরিকের দল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে দেয়নি মরক্কো। বুটের জঙ্গলে বারবার প্রতিহত হয়েছে স্পেনের যাবতীয় আক্রমণ। ১২০ মিনিট স্পেনকে আটকে রেখে গোলশূন্য ভাবে ম্যাচ শেষ করে মরক্কো। সেই সঙ্গে তারা ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। 


নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের শেষেও পাল্টাল না স্কোরলাইন। ক্রোয়েশিয়া-জাপান ম্যাচের পর এটি ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ, যেটি অতিরিক্ত সময়ের পর টাইব্রেকারে গড়ায়।

তবে নির্ধারিত সময় যে ফুটবল খেলেছিল স্পেন, অনায়াসেই ম্যাচটা শেষ করে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মিসের বন্যা। প্রথম ম্যাচেই সাত গোল করে গোলের কোটা বোধহয় শেষ করে ফেলে তারা। পরের তিন ম্যাচে হয় মাত্র দু'গোল।

বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ প্যাকেজ নিঃসন্দেহে মরক্কো। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর বেলজিয়ামকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত অ্যাটলাস লায়ন্স।