কাফনের কাপড় পাঠিয়ে রুয়েটের ৯ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি

ক্যাম্পাস
৯ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি  © সংগৃহীত

কাফনের কাপড় পাঠিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৯ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাকযোগে পাঠােনা খামের ভেতর তাদের কাছে কাফনের কাপড়ের টুকরো পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ডাক পিয়নের মাধ্যমে এই খাম হাতে পান।

যে শিক্ষক-কর্মকর্তারা খাম পেয়েছেন তারা হলেন- রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফারুক হোসেন, সহ-সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. রবিউল আওয়াল, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন, কম্পট্রোলার নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ এবং সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রোজ।

খামের উপর প্রেরকের ঠিকানায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজশাহী’ লেখা রয়েছে। এছাড়া একটি মোবাইল নাম্বারেরও উল্লেখ রয়েছে। তবে নাম্বারটি কার জানা যায়নি।

বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। 

রুয়েটের দাপ্তরিক প্যাডে লেখা এ অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন। এতে চিঠি আসার বিবরণ দেওয়ার পর লেখা হয়েছে: ‘গত ৬ ডিসেম্বর জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শন কমিটির সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যোগসূত্রতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ ডিসেম্বর জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটি রুয়েটের বিভিন্ন দপ্তর ও শাখা আকস্মিক পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে শাখার ডেপুটি রেজিষ্ট্রার শাহ মো. আল রেরুনী ছিলেন না। পরে তিনি এসে কমিটির উদ্দেশ্যে উচ্চ স্বরে আজেবাজে কথা বলেন এবং কটূক্তি করেন। তিনি ছাড়াও সংস্থাপন ও প্রশাসন শাখার জুনিয়র সেকশন অফিসার মুরাদ হোসেন এবং প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন (সাময়িকভাবে বরখাস্ত) পরিদর্শন কমিটিকে কটাক্ষ করে কথা বলেন। একপর্যায়ে তারা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে উচ্চ স্বরে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এবং কটূক্তি করেন। ঘটনার পর পরিদর্শন কমিটি রেজুলেশনে এই ঘটনা লিপিবদ্ধ করে।

এ ঘটনার জের ধরেই কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে হুমকিপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তারা মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারিষদ শাখার ডেপুটি রেজিষ্ট্রার শাহ মো. আল রেরুনীকে ফোন করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। পরে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাফনের কাপড় আমি দেখেছি। ছোট ছোট দুটি কাপড় পাঠানো হয়েছে। রুয়েটের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’