চবিতে সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনায় চবিসাসের নিন্দা 

চবি
  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান চারুকলা ক্যাম্পাসে প্রতিস্থাপনে আন্দোলনে আজও ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিল চারুকলার শিক্ষার্থীরা। সে সময় ছাত্রলীগের একাংশ  আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে হামলা চালায়। তখন কর্তব্যরত চবি সাংবাদিক মারজান আক্তারের ভিডিও ধারন করা নিয়ে বুলিং করে উপগ্রুপ ভিএক্সের কর্মীরা। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি চবিসাস।

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আজহার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু।

একইসঙ্গে মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।  

যৌথ বিবৃতিতে চবি সাংবাদিক সমিতির নেতারা বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে আমরা দেখেছি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, সেশন-২০১২-১৩), বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক ফাহাদ, একই সেশনের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদুর রহমান স্বপনসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী চবিসাসের সদস্য ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হেনস্তা করেন।

এ সময় মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করতে পীড়াপীড়ি করেন তারা। ভিডিও ডিলেট না করায় সাংবাদিকের মোবাইল এবং ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

পরবর্তীতে সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।  

বিবৃতিতে চবিসাস নেতারা আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

ছাত্রলীগের এ ধরনের হিংস্র আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। বাক স্বাধীনতার পাশাপাশি মুক্ত গণমাধ্যমকেও কলুষিত করে এসব কর্মকাণ্ড। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।


মন্তব্য