৫৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলো ঢাবি অ্যালামনাই 

ঢাবি
অনুষ্ঠানের একাংশ  © টিবিএম ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৫৩০ জন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলি চৌধুরী সিনেট ভবনে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার্থী শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনটির মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউসারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে তাল মিলিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েনশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে চলার পথকে আরো মসৃণ করবে। এখানে যেমন রয়েছে প্রথিতযশা শিক্ষকরা তেমনি আজকের এই শিক্ষার্থীরা একদিন বিখ্যাত চিন্তাবিদ, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ হবে। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় সকল বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বড় হয় অ্যালামনাইদের অবদানে। 

নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন,  আমাদের ৭৫ পরবর্তী সময়ে নির্বাচন ব্যাবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। হ্যাঁ-না ভোটের একটা প্রহসন করা হয়েছিল। ভয়াবহ একটা অবস্থা ছিল।  সেই অবস্থা পারি দিয়ে এসে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে করতে আজকের একটা জায়গায় এসে দাঁড়ানো করা হয়েছে। ভালোর কোনো শেষ নেই। আরও অনেক ভালো করার নিশ্চয়ই অনেক সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমাদের সবার সচেষ্ট থাকতে হবে।

দীপু মনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত যতগুলো সংস্কার হয়েছে তার সবগুলো শেখ হাসিনা করেছে। আজকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে। আমরা কী তৎকালীন  ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচন দেখেছি? পুরোনো সংবাদপত্র ঘাটলে দেখতে পারবেন আসল চিত্র। সেখানে নির্বাচনের পরে আমাদের স্লোগান দিতে হয়েছিল, ১০টি হুন্ডা, ২০টি গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। এই ছিল নির্বাচন। তখন প্রায় সব নির্বাচনই ছিল এরকম। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  যখন ১ কোটি  ৩০ লক্ষ ভুয়া ভোটারে ভরা ছিল আমাদের ভোটার তালিকা। তখন শেখ হাসিনা আন্দোলন করেছিলেন এর বিরুদ্ধে। কিন্তু তৎকালীন সরকার এর কোনো কর্নপাত করেনি। এখন শেখ হাসিনা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার লিস্ট করেছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা এখন স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন নিজের লোক নেবার শক্তি এবং আর্থিক স্বাধীনতা পেল যাদের হাতে; ঠিক তাদেরকেই প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমার নির্বাচন ব্যবস্থা ভালো নয়। তো এই হচ্ছে কথাবার্তা। 

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সাথে প্রতি বছরের ন্যায় সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার্থী-শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকার যুব সমাজের সাথে 'সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ'-এর লক্ষ্যে প্রচারাভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।


মন্তব্য