ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:১৭ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:১৭ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দারের মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে সে আত্নহত্যা করে থাকতে পারে অন্যদিকে তার পরিবারের দাবি হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন নাবিল।
নাবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায়। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে।
মৃত্যুর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন নাবিল হায়দার। সেখানে তিনি লেখেন ‘বিদায়’। এ পোস্টের সঙ্গে একটি ভাঙ্গা চশমার ছবি যুক্ত করেছেন তিনি।
মৃত্যুর বিষয়ে নাবিলের আপন বড় ভাই তনয় বলেন, তার সেই ফেসবুক পোস্টটা দেখে গতকাল সন্ধ্যায় আমি নাবিলের বন্ধুর বাসায় যাই। সেখানেই সে মাঝে মাঝে আসতো। গিয়ে দেখি, নাবিল ঘুমাচ্ছে। তার সামনে ইফতারের প্লেট রাখা ছিল। কিছু ইফতার খেয়েছে আর কিছু খায়নি, এই অবস্থা।’
'পরে কিছুক্ষণ বসে থেকে তার বন্ধুকে কিছু টাকা হাতে দিয়ে আর তার ঘুমের ভিডিও করে আমি চলে আসি। সে ঘুম থেকে যখন উঠে তখন আমাকে ফোন দিতে বলে আসি তার বন্ধুকে। কারণ আমি যেই মসজিদে তারাবি পড়ি সেখানে আজ কোরআন খতম হবে।'
তনয় বলেন, এরপর রাতে তার বন্ধুকে ফোন দেই। তখন তার বন্ধু বলে, নাবিল ঘুমাচ্ছে। এরপর সেহরির সময় নাবিলের সেই বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলে, ভাই, নাবিলের জন্য ত খাবার দিয়ে আসলাম। নাবিল ত নড়েও না কথাও বলে না। এরপর আমি যেভাবেই ছিলাম সেভাবেই বসুন্ধরা থেকে সেখানে যাই। গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
বিদায় স্ট্যাটাস ও আত্মহত্যার বিষয়ে তনয় বলেন, সে কিছুদিন আগে আব্বুকে বলেছে, তার বাইক দরকার। আব্বুর সাথে রাগ করে সে বিদায় স্ট্যাটাস দিয়েছিল কিন্তু আব্বু বলছে তাকে কিনে দিবে। এছাড়া ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও সে একটু চিন্তিত ছিল। তবে সে আত্মহত্যা করতে পারে না। কারণ আত্মহত্যা হলে মেডিকেল থেকে এত দ্রুত ছেড়ে দিতো না। তার পোস্টমর্টেম বা কোনো কিছুই করেনি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তাররা বলছে সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড মাকসুদুর রহমান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় আত্নহত্যা করেন নাবিল। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার লাশ ভাই ও বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’