র্যাগিংয়ের শিকার জাবি শিক্ষার্থী
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ০৯:১৫ AM , আপডেট: ২৬ মে ২০২৩, ০৯:১৫ AM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আল বেরুনী হলের গনরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন ও র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। র্যাগিংয়ের ঘটনায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান এক শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন র্যাগিংয়ের শিকার আইন ও বিচার বিভাগের এক শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শেখ নাজমুস সাকিব, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক লিমন, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের আশিক। তারা সবাই দ্বিতীয় বর্ষ (৫০ তম ব্যাচ) এবং আল বেরুনি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ মে রাত ১২টার দিকে একই হলের ৫০ তম আবর্তনের কতিপয় শিক্ষার্থীরা আমাদের গণরুমে আসেন। তারা মা-বাবা ততুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অত্যন্ত অম্লীল ভাষা প্রয়োগ করেন আমাদের উপর । এসময় মুরগি ভঙ্গিতে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখলে আমাদের একজন শিক্ষার্থী বন্ধু অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান।
এতে আরও বলা হয়, আরেকজন শিক্ষার্থী বন্ধু তীব্র রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরেও তারা ক্ষান্ত হননি, অত্যন্ত নোংরা ও বিকৃত ভঙ্গিতে পর্ণোগ্রাফির মতো আচরণ আমারদেরকে দিয়ে করিয়ে নেন। এরপর প্রায় ৪টার দিকে তারা গণরুম থেকে বেরিয়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ইমিডিয়েট কিছু সিনিয়ররা রুমে এসে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে শুরু করেন। পরে ম্যানার শেখানোর নামে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে দুই একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছি। র্যাগিংয়ের শিকার হতে না। আমরা র্যাগিং এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে জিরো টলারেন্স দাবি করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শেখ নাজমুস সাকিব বলেন, ঐদিন আমরা কয়েকজন গনরুমের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। প্রথম বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী জোরে জোরে গান বাজাচ্ছিল। আমরা শুধুমাত্র উচ্চস্বরে গান বাজাতে মানা করার কথা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে র্যাগিং এর কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে আল বেরুনি হলের প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্রের কপিটি মাত্রই পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমি সন্ধ্যার সময় অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি এবং উক্ত হলের প্রভোস্টকে অভিযোগ পত্রটি ও দিয়েছি এবং এবং এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছি।