চবির বাতাসে গাঁজার গন্ধ ভাসে!

চবি
  © ফাইল ফটো

নিরাপদে মাদক সেবনের অভয়ারণ্য হয়ে দাড়িয়েছে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যেন একধাপ এগিয়ে আছে এ দিক থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের রুম থেকে শুরু করে স্টেশন, সেন্ট্রাল ফিল্ড, বিভিন্ন ঝুপড়ি এমনকি একাডেমিক ভবনের আশে পাশে গাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য সেবনের চিত্র মেলে হর হামেশা।

আরও পড়ুনঃ ছাদে বাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০ শতাংশ ছাড়!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাসহ সেন্ট্রাল ফিল্ড, কলা ঝুপড়ি, ঝর্ণা, স্টেশন বিভিন্ন ঝুপড়িতে বসে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি খুব স্বাভাবিকভাবে মাদক গ্রহণ করেন কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী। তারা আরো অভিযোগ করেন,প্রায় প্রত্যেক হলেই রাতে বসে মাদকের আসর। গাঁজার ঝাঁজালো গন্ধ ভেসে আছে বাতাসে।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা কিছু বিপথগামীর জন্য জড়িয়ে পড়ছে মাদক সহ অসংখ্য অপরাধে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্য চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স,হেল্থ এন্ড ডিসিপ্লিনের জরুরি সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গোপন/সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী যেকোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি, ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের স্থানসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুনঃ হাইওয়েতে পশুবাহী গাড়ি থামানো যাবে না

কার্যত মাদকের প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলছে, মাদকের থাবা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে চবি প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার পাশাপাশি সন্দেহজনক স্থান এমনকি হলের বিভিন্ন রুম গুলোতেও তল্লাশি ও মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মাদক বিরোধী অভিযানের অগ্রগতি বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে জানান , গত পরশু (১২ ই জুন) মাদক বিরোধী অভিযান কেন্দ্রিক একটি মিটিং এবং আজকে (১৪ ই জুন) বেলা ১২ টায় এই বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম ( মাদক বিরোধী অভিযান) নির্দিষ্ট টার্গেট অনুযায়ী আগাচ্ছে।