ঢাবি বাজেটে বাড়ছে না গবেষণায় বরাদ্দ, ঘাটতি ৬০ কোটি

ঢাবি
ঢাবি সিনেট ভবন  © লিটন ইসলাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে উপস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এতে গবেষণা খাতে মাত্র ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া  হয়েছে। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই ছিল। শতকরা হিসেবে যা মোট বাজেটের ১.৬৪ শতাংশ। এছাড়া, এবারের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ৬০ কোটি ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৫৮%। 

আজ বুধবার (২১ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

কোষাধ্যক্ষ জানান, ২০২২-২০২৩ সালের মূল বাজেট ছিল ৯২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ২ কোটি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯২৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। উক্ত সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) থেকে অনুদান ৭৩৮ কোটি ৯ লক্ষ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৮৩ কোটি টাকা সহ আয় ধরা হয়েছে ৮৬৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৩২%।

তবে এবারের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটে সিন্ডিকেট ৯১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত পরিচালন বাজেট অনুমোদন করে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৭২৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৬৮.২৯%; গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৬৪%; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৯%; পণ্য ও সেবা বাবদ ২০৮ কোটি ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২২.৭৬% এবং মূলধন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৫৪% বরাদ্দ রাখা হয়েছে। 

তবে বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) দিবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা এবং এতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ কোটি ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৫৮%। 

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান (Profitable entity) নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে।এ সমস্যা সমাধানে নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করা অথবা সরকারের নিকট হতে বিশেষ অনুদান ভূমিকা রাখবে বলে কোষাধ্যক্ষ মনে করেন।