উদ্যানে মারামারিতে যুবক খুন, দুই বছর পর ঢাবি ছাত্র আটক

ঢাবি
  © ফাইল ছবি

দুই বছর আগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মারামারি করে একটি খুনের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার শেখ মারুফ হোসেন ওরফে সুজন (২৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

২০২১ সালের ১ জুন আবুল হাসান (৩২) নামের এক যুবককে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যান কয়েকজন যুবক। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে আবুল হাসানের বাবা আব্দুল মতিন।

সম্প্রতি আবুল হাসানের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, এটি অপমৃত্যু নয়। হত্যা করা হয়েছিল আবুল হাসানকে। আবুল হাসান রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকার একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় থাকতেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আবুল হাসান মাদক সেবন করতেন। সে কারণে ২০২১ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে এক দিন সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন নীলক্ষেতে যান। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ এবং তাঁর দুই বন্ধু তরিকুল ইসলাম (তারেক) ও রাজিব হোসেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের সঙ্গে আবুল হাসানের কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়।

এর জের ধরে এক সপ্তাহ পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আবুল হাসানের ওপর হামলা চালান মারুফ ও তাঁর ওই দুই বন্ধু। এদের মধ্যে তরিকুলও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আবুল হাসানকে আহত অবস্থায় ওই তিনজনই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।