জাবি সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, চলছে ভোট গ্রহণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে  সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।সোমবার  সকাল  ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

নির্বাচনে  উপাচার্যের সমর্থনপুষ্ট আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' নামে একটি এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ মিলে 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' নামে অপর একটি প্যানেল ঘোষণা করেছে। সিনেটে ৩৩টি আসনের বিপরীতে দুটি প্যানেল থেকে ৩৩ জন করে ৬৬ জন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ২ জন শিক্ষক মিলে মোট ৬৮ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে শিক্ষক ঐক্যপরিষদ প্যানেলে ২৭ জন বিএনপিপন্থি এবং ৬ জন আওয়ামীপন্থি শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬১৩ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড.নূরুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের  ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং এ প্রথমবারের মতো ৮০০ -১০০০ এর মধ্যে আসতে পেরেছি ।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় সামগ্রিক উন্নয়ন, প্রশাসনের কার্যক্রমে গতিশীলতা, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সময়মতো নিয়োগ, প্রথমবারের মতো ডিজিটাল  নথি চালু করা,অধিকতর উন্নয়নের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ  বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ আমাদের পক্ষে ভোট দিবেন। তাই আমরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায়  আশাবাদী।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এর অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন,ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও বরাবরের তুলনায় শিক্ষকদের মধ্যে আমেজ কম এবং এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাক্তিকেন্দ্রিক বিষয়কে না দেখে দলীয় পরিচয়কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এর কারণ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মূল্যবোধের অবক্ষয় যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও ক্ষতিগ্রস্থ করছে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন,সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার সংখ্যা বেশি থাকার কারণে ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য  এর আগে  শিক্ষক সিনেট নির্বাচন গত ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।