বাংলাদেশ মোমেন্টসে সংবাদ প্রকাশের পর প্রলয় গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে বহিষ্কার করলো ঢাবি 

প্রলয় গ্যাং
ঢাবির প্রলয় গ্যাং   © ফাইল ছবি

“মারধর করে আবারো আলোচনায় প্রলয় গ্যাং, শাহবাগ থানায় মামলা ”- গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর কথিত  ‘প্রলয় গ্যাং’ নিয়ে বাংলাদেশ মোমেন্টস-এর করা সংবাদের প্রেক্ষিতে এই গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না' মর্মে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, একই হলের অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশিপ বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব, একই বিভাগের মুরসালিন ফাইয়াজ এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ এবং স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ূন। তারা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত একাধিক শৃঙ্খলা পরিষদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, আন্তঃহল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রলয় গ্যাংয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৯জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলভী আরসলান নামের এক ছাত্রকে তিন ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে প্রলয় গ্যাংয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরের দিন (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের (আলভী ) মা ডা. রেহেনা আক্তার। মামলায় তবারক মিয়া, মুরসালিন, ফয়সাল আহমেদ সাকিব, জুবায়ের ও জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনসহ অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ মোমেন্টস-এ এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, নর্থ সাউথের এক শিক্ষার্থীকে (আলভী) নির্যাতনের ঘটনায় তার মা থানায় মামলা করেন যেখানে তিনি পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং তিনি বলেছেন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আমরা চারজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে সাতদিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।


মন্তব্য