ঢাবির ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে সাময়িক বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেতা

ঢাবি
  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা' সূর্য সেন হলের ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসেন অভি। আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বহিষ্কারাদেশ হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আরাফাত হোসেন অভি (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাস্টারদা' সূর্যসেন হল শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।”

গতকাল সোমবার দুপুরে বকেয়া টাকা চাওয়ায় সূর্য সেন হলের ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেনকে মারধর করে দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত। 

ঘটনার বর্ণনায় ফাহিম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা অভি আজকে খাবার খেতে আসছে। কালকে আসেনি। এর আগে পরশু দিন আবার খাবার নিয়ে গেছে, বিল দেয়নি। পরশু দিন একবার বলছি, ভাই আমার আগের কয়ডা টাকা আছে, আর আজকের বিলটা। ওইদিন কইছে, তোমাকে পরে দিব। আজ আবার খাইতে আসছে। তখন কইলাম, ভাই বিলটা দেন। এর আগেরও কিছু বিল আছে। এরপর সে কইতাছে, পরে দিমু তোমারে, লিখা রাখ। পরে আমি কইছি, আচ্ছা লিখা রাখতেছি। এরপর তার সঙ্গে আমার কথা শেষ। এটা ম্যানেজারকে লিখতে বলতেছি, ৬টা খানার সঙ্গে এই বিলটা লেখ। পরে উনি আর বাকি খাইব না।


তিনি আরও বলেন, এরপর দুই-তিন মিনিট চইলা গেছে। তখন ঘুইরা আইসা বলতাছে, এই ফাহিম এদিকে আয়। পরে গেছি। যাওয়ার পর কইতাছে, কার লগে কীভাবে কী কইতে হয় জানস না? তখন আমি বললাম, আমি কী কইছি ভাই? আমি তো বিলটা চাইলাম খালি। আমি কইছি না, বিল পরে দিমু? এটা বলেই সে আমার দাঁড়ি ধইরা এক মুষ্টি দাড়ি ছিঁড়ে ফেলছে। তখন যা মুখে আসছে তাই বলে গালি দিছে আর আমাকে ও ম্যানেজারকে কিল, ঘুষি, লাথি দেওয়া শুরু করল। এসময় আমার শার্ট এবং গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে সে। আমি এই ব্যাপারে সূর্যসেন হল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত।


মন্তব্য