পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে শিক্ষক-কর্মকর্তারা, পবিপ্রবিতে উত্তেজনা

পবিপ্রবি
  © সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা কর্তৃক এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুতের দাবিতে টানা ৪র্থ দিনের মতো আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে এর বিপরীতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার পক্ষে পাল্টা মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেহাদ পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেল স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকবে সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম। 

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে অপর একজন শিক্ষক বলেন, আপনারা যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন তার ফসল কিন্তু একটি নৈতিক দাবির বিপরীতে একটি গোষ্ঠী দাঁড়ানোর যে দুঃসাহস সেটা তারা প্রমাণ করলো। 

শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সময় রাসেলের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন করতে দেখা যায় তাদের।  

এদিকে কর্মকর্তা রাসেলের পক্ষে এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় অফিসার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজকুরুনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘কর্মকর্তারা যদি শিক্ষার্থীদের ফাইল না ছাড়ে তবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে, যদি এভাবে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে আন্দোলন করে তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন তার বিচার করবে। তবে যদি অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয় আমরাও কর্মসূচি হাতে নিতে জানি। 

মানববন্ধনে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যে ব্যবস্থা নেবে তা মেনে নেওয়া হবে, তবে কিছু হলেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখে, এতে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্নতায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’  

প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাসেলের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে আন্দোলন করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। 


মন্তব্য