জাবিতে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের চেয়ার টেবিল 

ক্যাম্পাস
  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নব নির্মিত হলগুলোতে সরবরাহ অনুযায়ী উচ্চমূল্যের নিম্নমানের চেয়ার টেবিল দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। 
 
রোববার (৩ মার্চ) সরজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।  

প্রকল্প অফিসের হিসেব অনুযায়ী প্রতিটি টেবিলের মূল্য ১৬ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত টেবিলের মূল্য ১৬ হাজার টাকা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্বিবদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমম বলেন, আমাদের আরো উন্নত চেয়ার টেবিল দেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু আমরা মূল্য অনুযায়ী সেই মানের চেয়ার টেবিল পাইনি। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, টেবিলের মূল্য অনুযায়ী টেবিলের গুনগত মান আমরা পাইনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি 

এদিকে প্রকল্প অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পাল্টাপাল্টি দায় চাপিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, আমারা টেবিলের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বিষয়টি আমাদের স্পেসিফিককেশন করতে দেওয়া হয়। এর বাইরে আমাদের কিছুই করার ছিলো না। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি অভিযোগ করে সেটা আমরা মিটিং এ আলোচনায় নিয়ে আসবো।

Arif - 2024-03-04T133037-005

 

প্রকল্প অফিসের পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেন, আমাদের ৬ টি হল কমিটির প্রভোস্টদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে তারা তাদের টেবিলের পরিমাপ, গুণগত মান সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কোনো হল প্রশাসন যদি তাদের চেয়ার টেবিল তাদের পছন্দ অনুযায়ী না হয় তাহলে সেটা আমরা ঠিকাদারদের কাছে পুনরায় পাঠাবো।
 
মেয়েদের হলের টেবিলগুলোতে এল ই ডি লাইট না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, টেবিলের সাথে লাইট দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো না। তবে কোনো একটি হল প্রশাসন যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এল ই ডি লাইট সংযোজন করে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি যতটুকু জানি শেখ রাসেল হলের হল প্রশাসন রুমের কিছু লাইট রিজার্ভেশন করে রেখে সেটা টেবিলের সাথে সংযোজন করে দিছে।  

উল্লেখ্য অধিকতর প্রকল্পের আওতায় ছয়টি হলের মধ্যে চারটি হলে শিক্ষার্থী উঠানো হয়েছে। শেখ রাসেল হল ও ফজিলাতুন্নেছা হল চালুর এক বছরেরও অধিক সময় পর হলগুলোতে চেয়ার টেবিল দিচ্ছে।