অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন চবি ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি, খসে পড়লো ভবনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৭ PM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৭ PM

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের আইকনিক ভবন উদ্বোধনের জন্য ব্যয় হয় ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করা হয় ভবনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং। পাঁচ মাসের মাথায় খসে পড়ল সেই স্থাপনার একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন।
রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০.৩০ টায় ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খানের কক্ষে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফিশারিজ বিভাগের সভাপতির কক্ষে তার চেয়ারের ঠিক উপরে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য স্থাপন করা
প্রায় ৪০ কেজি ওজন এবং প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি প্লাইউড বোর্ড খসে পড়ে। এসময় তিনি তার চেয়ারে বসে বিভাগীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছিলেন। তার চেয়ারের মাথায় প্লাইউড বোর্ডটি খসে পড়লেও ভাগ্যক্রমে তিনি আহত হননি এবং প্রাণে বেঁচে যান।
এবিষয়ে তিনি জানান, আমি আমার কক্ষে বিভাগীয় কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করছিলাম এমন সময় ১০.৩০-১১ টার মধ্যে আমার চেয়ারের ঠিক উপরে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের একটা অংশ খসে পড়ে। এটার ওজন প্রায় ৪০ কেজি হবে, দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুটের মতো। আমি সাথে সাথেই আমার সহকর্মী ও ডীন অফিসে জানাই। ডিন এসে দেখে গিয়েছেন। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি এটিই অনেক বড় কিছু।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন খসে পড়া বিষয়ে জানতে চাইলে মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, এটার কাজ যারা করছেন আমি তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা অতিদ্রুত এটা ঠিক করে দিবেন। এখানে একটি কাঠ পড়ে গিয়েছিল আর কোন সমস্যা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্লাইউড বোর্ডটি মাত্র ৩ মিলিমিটার গভীরে ঢোকানো পেরেক ব্যবহার করে দেয়ালে লাগানো ছিল। ঠুনকো, ঝং ধরা পেরেক দিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি ওজনের একটি বোর্ড লাগানো হলে, এটি সকলের জন্যই মাত্রাতিরিক্ত ঝুকি তৈরী করে। ভাগ্য সহায় থাকায় স্যার বেঁচে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পরিচালক ও বিভাগের চেয়ারম্যান কক্ষের সাজসজ্জার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। পর্যাপ্ত বাজেট ব্যবহার করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দায়িত্বশীলদের কাজের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এরআগেও এই ভবন উদ্বোধনে ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার জন্য ইউজিসি জবাব চেয়ে চিঠিও দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে।