জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার চায় আন্দোলনকারীরা

জবি
  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামগ্রিকভাবে একটি বিকল্প সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার চায় অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ‘যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অপমৃত্যুর সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, অংকনের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবী জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করেনি। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সেল সম্পর্কে অনেকেই জানেনা উল্লেখ করে আরো বলেন, স্বাধীনভাবে এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে তার কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। 

এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাঁচটি দাবি উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেখানে দাবিগুলো হলো, 

১. ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা হত্যার সমস্ত প্রমাণ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে।
৩. অংকন বিশ্বাসসহ পূর্বে দায়েরকৃত সকল অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. পূর্বতন প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৫. ফাইরুজ অবন্তিকা এবং অংকন বিশ্বাসের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্থায়ী ফলক নির্মাণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা নতুন কর্মসূচি হিসেবে ২১ মার্চ নতুন একাডেমিক ভবনে অবন্তীকা ফাইরুজ   এবং কলা ভবনে বিশ্বাসের গ্রাফিতি অঙ্কনের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে।


মন্তব্য