জবির শিক্ষার্থী অংকনের মৃত্যুর আইনী পদক্ষেপ চেয়ে গণস্বাক্ষরসহ আবেদন 

জবি
  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলমান আন্দোলনের মধ্যে এবার বিশ্ববিদ্যালয়েরওই আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ চেয়ে গনস্বাক্ষরসহ আবেদন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৪ মার্চ) শান্ত চত্বরে আন্দোলনকারী এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা গনস্বাক্ষর গ্রহণ করেন এবং উপাচার্য বারবার অংকনের মৃত্যুর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য গনস্বাক্ষরসহ আবেদন পত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন,  আমরা চাই অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু একটা তদন্ত হোক। সে লক্ষ্যে অনলাইনে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ও সরাসরি প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়েছি আমরা।

আবেদন পত্রে উপাচার্যকে উল্লেখ করে বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চাই অংকনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং অংকনের সাথে ঘটা অন্যায়ে জড়িতরা যথাযথ বিচার পাক। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনি ও আপনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন একটি অনন্য নজির স্থাপন করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তাই আপনার কাছে আমরা সেই দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস আপনার হাত ধরে এবার অংকন বিশ্বাস ন্যায়বিচার পাবে।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চেষ্টা চালিয়েছি অংকনের প্রশ্নবিদ্ধ এ মৃত্যুর রহস্য জানার। এ যাত্রায় ইংরেজি বিভাগও আমাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু অংকনের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের সহায়তা করেনি বিধায় আজও অংকন ন্যায় বিচার পায়নি।

এনিয়ে ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী লিজা কবির সুইটি বলেন, অংকনের মৃত্যু যে আত্মহত্যা, তার কোনো প্রমাণ নেই। আমরা জানতে চাই অংকনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। সেজন্যেই আমরা উপাচার্যের কাছে একটা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি যেন তদন্ত হয়।

অংকনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা জানান, অংকন বিশ্বাস জবির আইন বিভাগের ছাত্র শাকিল আহমেদের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। অবশেষে শাকিল আহমেদের নিজ গৃহে অবস্থান কালে অংকন ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। টানা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে অংকন মৃত্যুবরণ করে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ