জাবিতে চারুকলা ভবন নির্মাণে কাটা পড়বে দুই শতাধিক গাছ
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩ PM , আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫২ PM

আবারও গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। এতে দুই শতাধিক গাছ কাটা পড়বে বলে আশঙ্কা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ নির্মান প্রকল্পের কার্যাদেশ হয়েছে। এখন শুধু অর্থছাড় ও নির্মাণকাজ শুরু করা বাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের সম্প্রসারিত ভবনের পাশে (আল বিরুনী এক্সটেনশন) চারুকলা বিভাগের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দুইশতাধিক গাছ রয়েছে । গাছ কেটে নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পাশে থাকা লেকে বর্জ্য নিরসনের মাধ্যমে লেক 'হত্যা' করা হবে বলেও দাবি তাদের।
চারুকলা ভবন নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম. এম. ময়েজউদ্দীন বলেন, ভবন নির্মাণে নির্ধারিত জায়গায় মেহগনি সহ কিছু ডালপালা বিহীন গাছ আছে এবং জায়গাটিতে বর্তমানে ঘাস ও জন্মাচ্ছে না এরফলে কিছু গাছ কাটা পড়লেও পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে মনে করছি না ।
মাস্টারপ্ল্যান না করে ভবন নসম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্বনির্ধারিত এই জায়গাটির পাশের বিল্ডিং এ চারুকলার ক্লাস চলক আগে থেকে এবং আমরা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী কমিটির সাথে কথা বলেছি, তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে, মাস্টারপ্ল্যান এর সাথে সমন্বয় করেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
এছাড়াও ঈদের ছুটিতে কাজ শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও ছাত্র, শিক্ষক ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী কমিটির মতামতের উপর ভিত্তি করে ঈদের বন্ধে কাজ শুরু হবে না।
অন্যদিকে জায়গা নির্ধারণ সম্পন্ন হলেও কতটুকু জায় নির্ধারণ করা হয়েছে বা কতগুলো গাছ কাটা পড়বে এ সম্পর্কে কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেস্ট অফিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণে কতটুকু জমি নির্ধারণ করা হবে এবং কতগুলো গাছ কাটা পড়বে এ বিষয়ে আমাদের এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি ।
ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, আমরা কখনো চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হোক। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অপরিকল্পিত নগরায়ণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে এখানে পড়াশোনার পরিবেশ থাকবে না। তাই আমরা চাই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ হোক।’ এছাড়াও এইখানে ভবন নির্মাণ করার ফলে প্রায় দুই শতাধিক গাছ কাটা পড়বে যা আমাদের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।