চবিতে হলের
রুম ভাংচুর ও কুপানোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দুই ছাত্রলীগ নেতার
- চবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১২:৪৮ AM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ০১:১৭ AM

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ সিএফসির দুই নেতার আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে একজনের রুম ভাঙচুর এবং অপর জনকে কুপানোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। নেপথ্যে কারণ হিসেবে দেখা যায় কোটা বহাল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ডের কমিটি গঠন ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলে রুম দখল করে রাখার বিষয়টি।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক ও চবি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ডের সভাপতি ১৫-১৬ সেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রমজান হোসেন শাখা ছাত্রলীগের আরেক সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানের বিরুদ্ধে শাহ আমানত হলের রুম ভাংচুর ও শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগ করেন।তিনি বলেন -মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হওয়ার পর আমি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষে থাকায় আমাকে কটুক্তি করে সবসময় সামাজিক ভাবে ছোট করেছে তারা। আদু ভাই, ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা ইত্যাদি বলে ফেইসবুকে পোস্ট করে, পরে আমি প্রতিবাদ করায় আরাফাত রায়হান ও সাথে খালেদ মাসুদ সহ ওদের জুনিয়র 'এরা কোটাধারী', এরা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না বলে আমার রুম ভাঙচুর করেছে এবং আমাকে গুরুতরভাবে আঘাত করেছে। আরাফাত, খালেদ মূলত সাদাফ খানের নির্দেশেই এটি করে।
রুম ভাংচুরের ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৮-১৯ সেশনের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হান তাকে কুপিয়ে জখম করার পাল্টা অভিযোগ করেন রমজান হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি জানান - দুপুর ১২ টার দিকে আমি রুমে শুয়ে ছিলাম তখন রমজান ভাই এসে দরজা আটকিয়ে সাথে থাকা ছোট দা দিয়ে হাতে কুপ দেয় আমার চিৎকার শুনে পাশের রুম গুলো থেকে মানুষ আসলে তিনি দরজা খুলে দেয় ।পরবর্তীতে প্রক্টর স্যারকে জানালে তিনি এসে আমাকে মেডিকেলে পাঠান এবং তার রুম থেকে ঐ দা উদ্ধার করে।
আরাফাত রায়হান আরো বলেন - আসলে ঝামেলার সূত্রপাত আমাদের মুক্তিযুদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ডের কমিটি নিয়ে।চার বছর যাপত উনি কমিটি দিচ্ছে না আমি কমিটির দপ্তর সম্পাদক। রমজান হোসেনের ছাত্রত্ব শেষ অনেক আগেই অথচ চারজনের রুম দখল করে রেখেছে।
অপরদিকে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক খালেদ মাসুদ বলেন -আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি প্রক্টর স্যার আসার পর।এটি মূলত আরাফাত এবং রমজানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা এখানে সাদাফ খান( সিএফসি উপগ্রুপের একাংশের নেতা)বা ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তবে এই ঘটনায় সিএফসি উপগ্রুপের একাংশের নেতা সাদাফ খানের সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে কল দিয়ে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।
আরাফাত কে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে রমজান বলেন- এটি ব্লেম আসলে রুম ভাংচুরের সময় কাঁচের আঘাতে সে ব্যথা পায়।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড অহিদুল আলম বলেন -এটি তাদের সিনিয়র- জুনিয়র কেন্দ্রিক সমস্যা তেমন কিছু না ধস্তাধস্তি হয় তবে বিষয়টি শুনেই আমি সেখানে গিয়েছি রুমের গ্লাস গুলো ভাংচুর করেছে রিপোর্ট দিতে হল প্রভোস্ট কে বলেছি পাশাপাশি যেহেতু রমজান ছেলেটির ছাত্রত্ব শেষ তাকে হল ত্যাগ করতে বলেছি।
আরাফাত রায়হানের বিষয়ে প্রক্টর বলেন- কুপানোর বিষয় টি সঠিক নয় প্রথমে আমাদের কে বলা হয় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে পরে আমরা তাকে মেডিকেলে পাঠিয়েছিলাম। সে আসলে দারজার কাঁচ থেকে ব্যথা পেয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য যে রমজান হোসেন ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ২০২২ সালেই তার ছাত্রত্ব শেষ হয়। অপরদিকে আরাফাত রায়হানকে ইতিপূর্বে বেশ কয়েক টি অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়।